২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পর্তুগালের গোল্ডেন ভিসায় ব্যাপক পরিবর্তন

পর্তুগালের গোল্ডেন ভিসায় ব্যাপক পরিবর্তন - ছবি : সংগৃহীত

বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভিসাকে গোল্ডেন ভিসা বলে। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে এই গোল্ডেন ভিসার প্রচলন রয়েছে। এতে তৃতীয় বিশ্বের অনেক ধনী ব্যক্তি ওই গোল্ডেন ভিসার আশায় বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করে। ব্যতিক্রম নয় ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ পর্তুগাল। ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ওই দেশে গোল্ডেন ভিসা চালু হয়েছে, এখনো বলবৎ রয়েছে। সূচনার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বিনিয়োগকারীকে গোল্ডেন ভিসা প্রদান করা হয়েছে পর্তুগালে।

তবে সাম্প্রতিককালে ওই গোল্ডেন ভিসায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনে আইন পাস করেছে পর্তুগিজ সরকার। এটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ১ জুলাই। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের আপত্তির মুখে ওই ট্রানজিশন পিরিয়ডটি বাড়িয়ে ১ জানুয়ারি ২০২২ করা হয়। অর্থাৎ নতুন আইনটি কার্যকর হবে আগামী বছরের প্রথম দিন।

পর্তুগালের গোল্ডেন ভিসায় বিশেষ কিছু সুবিধা

১. ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় স্বল্প বিনিয়োগে রেসিডেন্ট পারমিট প্রাপ্তি।
২. বছরে সর্বনিম্ন সাত দিন পর্তুগালে অবস্থান করলেও চলে।
৩. এটা দিয়ে সেনজেনভুক্ত ২৭টি দেশে অবাধে চলাচল করা যায়।
৪. পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে পর্তুগালে নিয়ে আসা যায়।
৫. পাঁচ বছর পর পর্তুগালের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।
(৬) চাকরি, ব্যবসা, পড়াশুনা ইত্যাদি করা যায়।

৭. এবং সর্বাপরি পর্তুগাল কোনো কালো তালিকাভুক্ত দেশ নয় যে বিনিয়োগের পর কেউ জটিলতায় পড়তে পারেন।

পর্তুগালের নতুন আইনে গোল্ডেন ভিসায় দুটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।
১. ক্যাপিটাল বিনিয়োগের পরিমাণ আগে ছিল এক মিলিয়ন ইউরো। ২০২২ সাল থেকে সেটা হবে দেড় মিলিয়ন ইউরো। গবেষণা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আগে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো ৩ শ' ৫০ হাজার ইউরো এবং আগামী ২০২২ সাল থেকে সেটা হবে ৫ শ' হাজার ইউরো।

২. পর্তুগালের সবচেয়ে জনপ্রিয় লিজবন, পর্তু, আলগার্ভ, সেতুবাল ইত্যাদি শহরে আগে বিনিয়োগ করা যেত। কিন্তু নতুন আইনে ওইসব শহরে বিনিয়োগের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

কেবল তৃতীয় দেশের নাগরিক যাদের উল্লেখিত পরিমাণ ইউরো আছে তারাই এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রপার্টি বিনিয়োগে বেশি পরিমাণ ইউরো লাগলেও গবেষণা কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে আরো কম ইউরো বিনিয়োগ করেও এই ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।

পর্তুগাল হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম শান্তিপ্রিয় ভৌগোলিক সৌন্দর্যে ভরপুর একটি দেশ। যেখান স্বাস্হ্য সুরক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা বিশ্বমানের। ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অপরাধপ্রবণতা অত্যন্ত কম এবং সেখানে বর্ণবৈষম্য নেই বললেই চলে।


আরো সংবাদ



premium cement