২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সেনাপ্রধানের পদচ্যুতির আদেশে স্বাক্ষরে অস্বীকৃতি আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্টের

আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমেন সারকসিয়ান - ছবি : সংগৃহীত

আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট আরমেন সারকসিয়ান দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধানকে পদচ্যুত করায় প্রধানমন্ত্রীর আদেশে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছেন। শনিবার প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়।

আর্মেনিয়ার চলমান রাজনৈতিক সংকট এর ফলে আরো গভীর হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনইয়ানকে এক বিবৃতিতে দেশটির সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল অনিক গাসপারিয়ান পদত্যাগের আহ্বান জানানোর পর ‘অভ্যুত্থান চেষ্টার’ অভিযোগে তাকে পদচ্যুত করেন প্রধানমন্ত্রী।

গত বছরের নভেম্বরে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তির পর থেকেই দেশজুড়ে বিরোধিতা ও বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছেন নিকোল পেশিনিয়ান। যুদ্ধে আর্মেনিয়ার বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করে বিরোধীরা পেশিনিয়ানের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে আসছে।

পাশিনইয়ানের পদত্যাগের দাবি জোরদার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক বাহিনী প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানায়।

শনিবার আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক সংকট ঘনঘন ব্যক্তির পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান হতে পারে না।

এতে বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট তার সাংবিধানিক ক্ষমতার কাঠামোর মধ্যে আদেশের খসড়া তার আপত্তিসহ ফেরত দিয়েছেন।’

এদিকে নিকোল পাশিনইয়ান জানিয়েছেন, গাসপারিয়ানের পদচ্যুতির জন্য আবার দাবি উপস্থাপন করবেন।

এক ফেসবুক বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতির সমাধানে কোনো ভূমিকাই রাখেনি। আমি আবার প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের কাছে সামরিক বাহিনীর প্রধানের পদচ্যুতির আবেদন পাঠাবো, আশা করবো প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া অনুসারে তাতে স্বাক্ষর করা হবে।’

পাশিনইয়ানের পদত্যাগের দাবি আর্মেনিয়ায় দিন দিন জোরদার হচ্ছে। শনিবার তৃতীয় দিনের মতো প্রায় পাঁচ হাজার বিক্ষোভকারী জাতীয় পতাকা হাতে রাজধানী ইয়েরেভানে দেশটির পার্লামেন্টের সামনে অবস্থান নেয় এবং পাশিনইয়ানের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয়। কিছু বিক্ষোভকারী ক্যাম্প করে সেখানেই অবস্থান নেন।

নাগরনো-কারাবাখ শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করায় দেশে বিপুল সমালোচনার শিকার হয়েছেন পাশিনইয়ান। চুক্তিটিকে আর্মেনিয়ার অনেকেই তাদের জাতীয় লজ্জা হিসেবে বিবেচনা করছেন।

পাশিনইয়ান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সামনে এই ‘অবর্ণনীয় বেদনাদায়ক’ চুক্তি স্বাক্ষর অথবা তার দেশের সামরিক বাহিনীকে ধ্বংস হতে দেয়া ছাড়া আর কোনো পথ ছিলো না।

গত বছরের শেষে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১০ নভেম্বর চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ। চুক্তিটির ফলে আর্মেনিয়াকে নাগরনো-কারাবাখ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে ফেলতে হচ্ছে।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩ তীব্র গরমে কী খাবেন আর কী খাবেন না এবার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বললেন এমপি জয় পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া

সকল