২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তাল ফ্রান্স

- ছবি : সংগৃহীত

কর্তব্যরত পুলিশের ছবি বা ভিডিও তুললে এক থেকে তিন বছরের জেল হবে অভিযুক্তের। সম্প্রতি পুলিশের জন্য নয়া এই নিরাপত্তা আইন পাশ হয় ফ্রান্সের সংসদের নিন্মকক্ষে। সিনেটের সদস্যরা এতে অনুমোদন দিলেই দেশজুড়ে এই আইনকে কার্যকর করা হবে বলে ঘোষণা করে ইমানুয়েল ম্যাক্রোর প্রশাসন। এরপরই এই কালা আইন বাতিলের দাবিতে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস-সহ বিভিন্ন শহরে।

শনিবারই প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করে প্যারিসে। প্রায় একই ছবি দেখা যায় বোর্দো, লিলে, মন্টপেলিয়ার, ন্যান্টেস-সহ বিভিন্ন শহরেও। বেশিরভাগ জায়গাতেই বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ফলে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়।

পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তারক্ষীরা গায়ের জোরে প্রতিবাদের ভাষাকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরাও তাণ্ডব চালান বিভিন্ন জায়গায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি টিয়ার গ্যাসও ছোঁড়ে। পালটা জবাবে পাথর ছোঁড়ে জনতা। উভয়পক্ষের এই সংঘর্ষে অনেকেই জখম হয়েছেন। এর মধ্যে ২০ জন পুলিশ আছে বলেও জানা গেছে। বিভিন্ন শহরে অনেক বিক্ষোভকারীকেও আটক করেছে পুলিশ।

কয়েকদিন আগেই ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি স্টুডিওতে ঢুকে মাইকেল জেকলার নামে একজন কৃষ্ণাঙ্গ সংগীত প্রযোজককে বেধড়ক মারধর করেছিল তিন পুলিশ। পরে সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়।

পরিস্থিতি সামলাতে অভিযুক্ত তিন জন-সহ মোট চারজন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ডও করে প্রশাসন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পুলিশকর্মীদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো।
কিন্তু, তার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রান্সের আইনসভার নিন্মকক্ষে নয়া নিরাপত্তা আইনও পাশ করানো হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষের একাংশ।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement