২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নাগোরনো-কারাবাখে ১১১৯ আর্মেনিয়ান যোদ্ধা নিহত

নাগোরনো-কারাবাখে আর্মেনিয়ান সৈন্য - ছবি : সংগৃহীত

নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার বলেছে, যুদ্ধে আরো ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আজারবাইজানের সাথে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ১১৯ জন যোদ্ধার।

১৯৯০ সালের যুদ্ধের পর বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তখনকার যুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। এ খরব জানিয়েছে তুর্কি সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি সাফাক।

নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সাথে আর্মেনিয়ার তৃতীয় বারের মতো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তুমুল যুদ্ধ চলছে।

আন্তর্জাতিকভাবে নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানি অঞ্চল বলে স্বীকৃত। ৯০ দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই দেশের মধ্যে সংঘাতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।

এক মাসের বেশি সময় ধরে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। প্রথম থেকেই দুই দেশকে শান্তি বৈঠকে বসানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া। দুইবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও হয় রাশিয়ার মধ্যস্থতায়। কিন্তু অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা লঙ্ঘন করেছে দুইটি দেশ।

এরই মধ্যে গত সপ্তাহে ফের দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসায় মস্কো। গত বৃহস্পতিবার মস্কোয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠক করেন আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি।

এর পর প্রথমে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং পরে মার্কিন কূটনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করেন আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘ বৈঠকের পর রোববার সন্ধ্যায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হয়। আমেরিকা, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে।

সেখানে বলা হয় মানবিক কারণে সোমবার সকাল ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে।

কিন্তু সোমবার সকাল হতেই আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, আজারি শহর টার্টারে আক্রমণ চালিয়েছে আর্মেনিয়া। সেখানে শেলিং করা হয়েছে। পাল্টা অভিযোগ করে আর্মেনিয়াও। তাদের দাবি, আজারি সেনাবাহিনী প্রথম যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement