১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনার দ্বিতীয় ধাপ ঠেকাতে অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করলো ইইউ

- সংগৃহীত

ইউরোপের প্রত্যেকটি দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্পেনে করোনা মোকাবিলায় আবারো জরুরি অবস্থা জারি করেছে। আয়ারল্যন্ড জাতীয় ভাবে লকডাউন ঘোষণা করেছে। ফ্রান্সের দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারের অধিক। ইংল্যান্ডে দৈনিক মৃতের সংখ্যা চারশত ছুইছুই।

এমতাবস্তায় দ্রুত অ্যান্টিজেন পরীক্ষাসামগ্রী কেনার জন্য এবং সদস্য দেশগুলোতে সরবরাহ করার জন্য বুধবার আরো ১০০ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ করেছে ইইউ। দ্রুত অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে একটি নতুন যৌথ প্রযোজনাও চালু করেছে সংস্থাটি। অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে টিকা দেয়ার জন্য চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য আরো একটি নতুন যৌথ প্রযোজনা এবং নন-ইইউ দেশ থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক এবং ভ্যাট অস্থায়ীভাবে স্থগিতকরণের মেয়াদ বাড়ানো রয়েছে।

এটিরও প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে যে- করোনা মোকাবিলায় হাসপাতালগুলো এবং চিকিৎসক প্র্যাকটিশনারদের ব্যবহৃত ভ্যাকসিনগুলো এবং টেস্টিং কিটগুলোতে ভ্যাট দিতে হবে না।

স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কিরিয়াকাইডস এক বিবৃতিতে বলেছিলেন,‘ইউরোপ জুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাগুলোর উপর চাপ কমাতে এবং ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ইউরোপের পক্ষে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

বৃহস্পতিবার ইইউ নেতাদের সাথে কোভিড-১৯ সমন্বয়ের বিষয়ে আলোচনা করতে যাওয়া কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লেইন বলেছেন, ব্লকের অবশ্যই তাদের তৎপরতা বাড়ানো উচিত। আমি সদস্য দেশগুলোকে একত্রে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাই। এখন গৃহীত সাহসী পদক্ষেপগুলো জীবন বাঁচাতে এবং জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করবে। কোনও সদস্য রাষ্ট্র এই মহামারী থেকে নিরাপদ হবে না যতক্ষণ না সবাই একত্রে মোকাবিলা করবে।

ইউরোপীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের (ইসিডিসি) এর তথ্য অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইইএ এবং যুক্তরাজ্যসহ ৩১টি দেশে করোনায় ২ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে এবং এবং আরো ৬২ লাখ লোক আক্রান্ত আছে। উত্তর আমেরিকার পরে এই অঞ্চলটি বিশ্বের দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত অঞ্চল।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বর্তমানে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের সাথে লড়াই করছে এবং এর আগের সংখ্যার চেয়ে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ এখন যেমন বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালি এবং গ্রিসে স্থানীয়ভাবে আরোপিত রাতের সময়ের কারফিউ দিয়েছে এবং জনগণের চলাচলে অনেকাংশেই নিষেধাজ্ঞা জোরদার করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement