১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শীতের সহায়তায় ইউরোপে করোনার ছোবল, লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু

- ছবি : সংগৃহীত

শীত পড়তেই করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে ইউরোপে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, অস্ট্রিয়া, ইটালি, রাশিয়া, নেদারল্যান্ডস, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই সমস্ত দেশের হাসপাতালগুলো দ্রুত ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। এরপর হাসপাতালে বেড পাওয়াও মুশিকলের বিষয় হবে।

অন্যদিকে, রয়টার্সের হিসেব বলছে, গত এক সপ্তাহে আমেরিকায় কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচ লাখ। মৃত্যুর সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো বেড়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৩২০ জনের। ইতালিতে মারা গিয়েছেন ২২১ জন। অস্ট্রিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক হাজার। এক সপ্তাহের মধ্যে মৃত্যুর হার লাফিয়ে বেড়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের হিসেব অনুযায়ী এক সপ্তাহে ৪০ শতাংশ মৃত্যুর হার বেড়েছে ইউরোপে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বক্তব্য, দ্রুত ইউরোপে কঠিন লকডাউনের ব্যবস্থা না করলে ফলাফল গতবারের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে।

ইউরোপের বহু দেশেই নতুন করে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। ফ্রান্স, জার্মানি সহ বহু দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার জন্য নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে প্রায় সর্বত্র কড়াকড়ির বিরুদ্ধে আন্দোলনও শুরু হয়েছে।

জার্মানি, ইতালিতে রাস্তায় নেমে মানুষ প্রতিবাদ করছেন। মঙ্গলবার ইতালির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে। আগুন জ্বলেছে রাস্তায়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আগের মতোই নতুন করে সার্বিক লকডাউনের রাস্তায় যেতে হবে বিভিন্ন দেশকে। নইলে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা সমস্যা হবে।

ইউরোপ যখন দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে, আমেরিকাতেও তখন নতুন করে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। সম্প্রতি সংবাদসংস্থা রয়টার্স একটি সমীক্ষা চালিয়েছে।

তাদের হিসেব, গত এক সপ্তাহে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আমেরিকায়। মৃত্যুর সংখ্যাও সেখানে বাড়ছে। এক সপ্তাহে করোনায় মারা গিয়েছেন পাঁচ হাজার ৬০০ জন। হাসপাতালে যাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে ১৩ শতাংশ। নতুন হটস্পট হয়ে উঠেছে ইলিনয়। সেখানে এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষ। টেক্সাসের পরিস্থিতিও একই রকম।

এই পরিস্থিতির মধ্যে আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেনশিয়াল ভোট। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ভোটের পর সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে। করোনার ভয়ে বহু মানুষ আগেই ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। রেকর্ড সংখ্যাক পোস্টাল ভোটও পড়ছে এবার।

সব মিলিয়ে ইউরোপ এবং আমেরিকার পরিস্থিতি ফের খারাপ হচ্ছে। তুলনায় ভারতের অবস্থা ভালো। গত কয়েক দিনে করোনা সংক্রমণের হার কিছুটা হলেও কমেছে। দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারের নীচে বেঁধে রাখা গিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement