১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইউরোপে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আরো দ্রুত

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইউরোপে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আরো দ্রুত - ছবি : সংগৃহীত

ইউরোপে আরো ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এমনটাই দাবি করলেন ফরাসি বিজ্ঞানী আর্নড ফন্টানেট। তার দাবি, প্রথমে যে গতিতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ে তার তুলনায় অনেক বেশি গতিতে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।

শুক্রবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ফন্টানেট জানান, ফ্রান্সে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল জুনের শেষের দিকে। হাসপাতালেও রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে এসেছিল অগস্টে। তখন মনে করা হয়েছিল যে করোনার দাপট থেকে আপাতত মুক্তি পেতে চলেছে ফ্রান্স। কিন্তু সেপ্টেম্বরে ঠান্ডা পড়তেই চিকিৎসকদের সব ধারণাকে ভ্রান্ত করে ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এবং আগের তুলনায় অনেকটাই দ্রুত হারে। যা উদ্বেগজনক বলেই দাবি করছেন ফন্টানেট।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে যুঝতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ফ্রান্স প্রশাসন। গত সপ্তাহেই প্যারিসে কার্ফু জারি করেছিল সরকার। সামনে নভেম্বর। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এই আশঙ্কায় কার্ফুর সময় আরও বাড়িয়েছে তারা। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জঁ ক্যাসট্যঁ-র গলাতেও উদ্বেগ ধরা পড়েছে। যদিও তিনি বলেছেন, “করোনার বিরুদ্ধে লড়তে আমরা সব রকমভাবে প্রস্তুত। কিন্তু আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।” পাশাপাশি সতর্কবার্তা দিয়েছেন, নভেম্বর মাসে আরো কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ফ্রান্স-সহ গোটা ইউরোপ।

বৃহস্পতিবারই সেখানে সাড়ে ৪১ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। জন্স হপকিন্স বিশ্বিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষের।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে সামলাতে ব্রিটেনও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেখানেও সম্প্রতি সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। যা ব্রিটিশ প্রশাসনের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।

ইউরোপের সবচেয়ে বেশি করোনা প্রভাবিত দেশগুলোর মধ্যে বেলজিয়াম অন্যতম। সেখানেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। হঠাত্ করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় চেক প্রজাতন্ত্রও বেশ কিছু জায়গায় লকডাউনের পথে হেঁটেছে। নেদারল্যান্ডসে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে।

ইউরোপের কোভিড হটস্পটগুলোর মধ্যে ছিল জামার্নি আর স্পেন। জার্মানিতে মাঝে সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও দৈনিক সংক্রমণ ১১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, স্পেনেও পরিস্থিতি ঘোরালো হতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহে সেখানে ১০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত গোয়ালন্দে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সিরিয়ায় আইএস-এর হামলায় সরকার সমর্থক ২০ সেনা সদস্য নিহত ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু জনসমর্থনহীন সরকার জনগণের আওয়াজ নির্মমভাবে দমন করে : রিজভী

সকল