২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইউরোপে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আরো দ্রুত

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইউরোপে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আরো দ্রুত - ছবি : সংগৃহীত

ইউরোপে আরো ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এমনটাই দাবি করলেন ফরাসি বিজ্ঞানী আর্নড ফন্টানেট। তার দাবি, প্রথমে যে গতিতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ে তার তুলনায় অনেক বেশি গতিতে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।

শুক্রবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ফন্টানেট জানান, ফ্রান্সে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল জুনের শেষের দিকে। হাসপাতালেও রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে এসেছিল অগস্টে। তখন মনে করা হয়েছিল যে করোনার দাপট থেকে আপাতত মুক্তি পেতে চলেছে ফ্রান্স। কিন্তু সেপ্টেম্বরে ঠান্ডা পড়তেই চিকিৎসকদের সব ধারণাকে ভ্রান্ত করে ফের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এবং আগের তুলনায় অনেকটাই দ্রুত হারে। যা উদ্বেগজনক বলেই দাবি করছেন ফন্টানেট।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে যুঝতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ফ্রান্স প্রশাসন। গত সপ্তাহেই প্যারিসে কার্ফু জারি করেছিল সরকার। সামনে নভেম্বর। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এই আশঙ্কায় কার্ফুর সময় আরও বাড়িয়েছে তারা। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জঁ ক্যাসট্যঁ-র গলাতেও উদ্বেগ ধরা পড়েছে। যদিও তিনি বলেছেন, “করোনার বিরুদ্ধে লড়তে আমরা সব রকমভাবে প্রস্তুত। কিন্তু আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।” পাশাপাশি সতর্কবার্তা দিয়েছেন, নভেম্বর মাসে আরো কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ফ্রান্স-সহ গোটা ইউরোপ।

বৃহস্পতিবারই সেখানে সাড়ে ৪১ হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। জন্স হপকিন্স বিশ্বিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষের।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে সামলাতে ব্রিটেনও বেশ কিছু ক্ষেত্রে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেখানেও সম্প্রতি সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। যা ব্রিটিশ প্রশাসনের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।

ইউরোপের সবচেয়ে বেশি করোনা প্রভাবিত দেশগুলোর মধ্যে বেলজিয়াম অন্যতম। সেখানেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। হঠাত্ করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করায় চেক প্রজাতন্ত্রও বেশ কিছু জায়গায় লকডাউনের পথে হেঁটেছে। নেদারল্যান্ডসে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে।

ইউরোপের কোভিড হটস্পটগুলোর মধ্যে ছিল জামার্নি আর স্পেন। জার্মানিতে মাঝে সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও দৈনিক সংক্রমণ ১১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, স্পেনেও পরিস্থিতি ঘোরালো হতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহে সেখানে ১০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল