২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গ্রিসে উদ্বাস্তু শিবিরে আগুন

- সংগৃহীত

গ্রিসের মোরিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে আগুন। একাধিক শিবিরে আগুন লেগেছে বলে জানা গেছে। ১২ হাজার উদ্বাস্তু থাকেন ওই শিবিরগুলোতে।

গ্রিসের লেসবস দ্বীপে সব চেয়ে বড় উদ্বাস্তু শিবির রয়েছে। সেখানেই বুধবার আগুন লাগে। দমকলের অভিযোগ, আগুন নেভাতে যাওয়ার পর তাদের বাধা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ায় এমন অভিযোগও উঠছে, করোনা নিয়ে কড়াকড়ির প্রতিবাদে এখানে আগুন লাগানো হয়েছে। গত সপ্তাহে করোনা নিয়ে এই শিবিরগুলিতে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি।

এই সপ্তাহের গোড়ায় মোরিয়া শিবিরে একজন সোমালি উদ্বাস্তুর করোনা ধরা পড়ে। তারপরই সেখানে প্রচুর কড়াকড়ি চালু করা হয়েছে।

মোরিয়াতে ১২ হাজার উদ্বাস্তু বিভিন্ন শিবিরে আছেন। তারা সকলেই আশ্রয়প্রার্থী। অনেকেই ইরাক ও সিরিয়া থেকে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে পালিয়ে এসেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলির মতে, এই শিবিরে গাদাগাদি করে মানুষ থাকছেন। এখান থেকে কিছু উদ্বাস্তুকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও তারা সরকারকে বলেছেন। কিন্তু সরকার সেই অনুরোধে কান দেয়নি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক ইভা কোসি বলেছেন, উদ্বাস্তু শিবিরের যা অবস্থা তাতে সেখানে জনস্বাস্থ্য বজায় রাখা অসম্ভব। করোনার মোকাবিলায় যে নির্দেশ জারি করা হয়েছে, তাও মানা সম্ভব নয়। তার মতে, এই জনবহুল ক্যাম্পে কড়াকড়ি মানা যায় না। এখানে মানুষকে নিভৃতবাসে পাঠানোই সম্ভব নয়।

জার্মানির গ্রিন পার্টির নেতা বলেছেন, মোরিয়ায় উদ্বাস্তুদের অবস্থা নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোর সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা সেই কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মোরিয়া সবসময়ই জ্বলছে। তবে সেই আগুন হলো ক্ষোভের আগুন। সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement