২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরকারের বিরুদ্ধে বেলারুশে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

- ছবি : সংগৃহীত

ভোট জালিয়াতির অভিযোগে ইউরোপের দেশ বেলারুশে প্রায় এক সপ্তাহের ধরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ চলছে। দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতার মসনদ আটকে রাখা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোরে বিরুদ্ধে শুক্রবার রাজধানীর মিনস্কে বিক্ষোভের জন্য জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

গত রোববারের নির্বাচনে বিতর্কিত প্রসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর ভোটে জয় লাভ করে, তারপরই জনগণ বিক্ষোভ শুরু করেছে।

লুকাশেঙ্কোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী স্বেতলানা তিখনভস্কায়া তার সমর্থকদের এই শুক্রবারে পুনরায় সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

মিনস্ক থেকে আল জাজিরার স্টেপ ভেসেন জানিয়েছেন, গত সোমবার বিক্ষোভে নিহত ৩৪ বছর বয়সী আলেকজান্ডার তারাইকভস্কির মৃত্যুর সম্মান জানাতে বিক্ষোভকারীরা পুশকিনস্কায় মেট্রো স্টেশনের কাছে জড়ো হয়েছে।

জানা গেছে, শেষ মুহুর্তে হাজার হাজার লোক সেখানে জড়ো হয়েছে। তারা এক মিনিট নীরবতা পালন করেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সহিংসতার প্রতিবাদ না করে টানা সপ্তম দিনের মতো নির্বাচনের ফলাফলের জন্য রাস্তায় নেমেছে।

বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে পদত্যাগ ও নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানেরও আহ্বান জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সরকার জনগণের আবেদনে কোনো সাড়া দেয়নি বলে জানা যায়।
রোববার কেন্দ্রীয় মিনস্কে ‘মার্চ ফর ফ্রিডম’ বিক্ষোভ আন্দোললের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পরে ৬৫ বছর বয়সী লুকাশেঙ্কো দাবি করেছেন তিনি ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ৩৭ বছর বয়সী তিখানোভস্কায়া তার স্বামীসহ বিরোধী দলের অন্যান্য প্রার্থীদের কারাগারে বন্দী করা হয়েছে।

তিনি লুকাশেঙ্কোকের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন। একই সাথে লুকাশেঙ্কোকের পদত্যাগ দাবি করেছেন যাতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

বিক্ষোভের চাপে মঙ্গলবার তিনি দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী লিথুয়ানিয়ায় পালিয়ে যান।

তবে শুক্রবার সারাদেশের শান্তিপূর্ণ জনসমাবেশের আহ্বান জানাতে আবার আত্মপ্রকাশ করেছেন।

তিনি ফলাফল নিয়ে নির্বাচন পরবর্তী বিক্ষোভে পুলিশি তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ ওই বিক্ষোভ আন্দোলনে প্রায় ছয় হাজার ৭০০ জনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ রাবার বুলেট, গ্রেনেড ছোঁড়ায় কয়েকশ বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে। যার ফলে দু'জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা গেছে। তারাইকভস্কি ছাড়াও অন্যজন দক্ষিণ-পূর্ব শহর গোলমালে গ্রেফতার হওয়ার পর জেল হাজতে মারা যান।

কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে গ্রেফতার হওয়া শতাধিক ব্যক্তিকে মুক্তি দিতে শুরু করেছে। এতে আটকে রাখা অবস্থায় অনেককে মারধর ও নির্যাতনের ভয়াবহ বিবরণ বেরিয়ে আসে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বেলারুশিয়ান কর্তৃপক্ষের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশের ব্যাপক নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের নিন্দা করেছে জানিয়েছে।

হাজার হাজার মানুষ পুলিশের সহিংসতার নিন্দা ও লুকাশেঙ্কোকে পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার মিনস্কে মিছিল করেছে।

সুত্রঃ আল জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement

সকল