২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনাবিরোধী মিছিল করায় গ্রেফতার শতাধিক

- ছবি : সংগৃহীত

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় সতর্ক থাকার সময়ে বার্লিনে হয়ে গেল স্বাস্থ্যবিধি না মানা বেপরোয়া এক মিছিল৷ ১৩০ জনকে গ্রেফতারকরেছে পুলিশ৷ আরো কঠোর ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন অনেকে৷

শনিবার করোনাকে ‘বিল গেটসের ষড়যন্ত্র’ বলে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বার্লিনের রাস্তায় মিছিল করেছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ৷ উগ্র ডানপন্থি, উগ্র বামপন্থি এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীদের আহ্বানে ব্রান্ডেনবুর্গ গেটের সামনে হওয়া এ মিছিল সরাতে গেলে পুলিশকে বাধা দেয়া হয়৷ শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ৷ এতে ৪৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন৷ তিনজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে৷

এক বিবৃতিতে বার্লিন পুলিশ জানায়, আয়োজকরা মোট ১০০০ জনের সমাবেশের অনুমতি নিলেও সমাবেশে অংশ গ্রহণকারীর সংখ্যা ২০০০০ ছাড়িয়ে যায়৷ সমাবেশস্থল থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেয়া, শান্তিভঙ্গ করা এবং অসাংবিধানিক প্রতীক প্রদর্শনের অভিযোগে ১৩০ জনকে গ্রেফতারের কথাও জানিয়েছে পুলিশ৷

ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছে নতুন করে৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মানা দরকার হলেও মাস্ক না পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে এমন সমাবেশের তীব্র নিন্দা জানিয়েছন বার্লিনের মেয়র মিশায়েল ম্যুলার৷

মধ্য-বামপন্থি দল এসপিডির সাংসদ সাসকিয়া এসকেন মনে করেন, বিক্ষোভকারীরা ‘করোনাইডিয়ট', অর্থাৎ ‘করোনানির্বোধ’৷ বিক্ষোভকারীরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অন্যের জীবনকেও ঝুঁকির মুখে ফেলছেন, করোনার বিরুদ্ধে জার্মানির অর্জনকে নষ্ট করে দিচ্ছেন- এমন অভিযোগ তুলে তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি৷

জার্মানির অর্থমন্ত্রী পেটার আল্টমায়ারও মনে করেন, স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া উচিত৷

বিক্ষোভের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
শনিবার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে করোনা-বিরোধী সকল ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বিরোধিতাও হয়েছে৷

ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি লেয়নি ভন হামারস্টাইন জানান, সেই সমাবেশে সবাই মাস্ক পরেছেন, সামাজিক দূরত্বও বজায় রেখেছেন৷ ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement