২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা যুদ্ধে উল্টো পথে হাঁটায় মাশুল গুণছে সুইডেন

- ছবি : সংগৃহীত

করোনায় বিপর্যস্ত বিশ্বের সকল দেশ যখন হেঁটেছে লকডাউনের পথে, তখন সুইডেন দেশটি হার্ড ইমিউনিটির আশায় ব্যতিক্রম পথ অবলম্বন করেছে। দেশটিতে করোনা সংক্রমণের পর থেকেই খোলা আছে স্কুল-কলেজ, দোকান-পাট সবই।

সুইডেনের উদ্দেশ ছিলো হার্ড ইমিউনিটি বা করোনার বিরুদ্ধে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করা। কিন্তু সুইডেনে প্রকাশিত ফলাফলে হতাশাজনক চিত্র ফুটে উঠেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে করোনভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢিলেঢালা পদক্ষেপ গ্রহণ করা সত্ত্বেও এপ্রিলের শেষের দিকে দেশটির রাজধানী স্টকহোমের মাত্র সাত দশমিক তিন ভাগ মানুষের শরীরে হার্ড ইমিউনিটি আছে।

সুইডেনের জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এই ফলাফলের চিত্রটি অন্যান্য দেশের মতো প্রায় একই রকম এবং এটি মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৭০-৮০ ভাগের নীচে রয়েছে।

সুইডেনের প্রধান মহামারি বিশেষজ্ঞ এন্ডার্স টগনেল বলছিলেন, এই সংখ্যাটি প্রত্যাশার চেয়ে ‘কিছুটা কম’ তবে উল্লেখযোগ্যভাবে কম নয়, সম্ভবত এক বা দুই ধাপ কম।

সুইডেনের জনস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক করা এই সমীক্ষাটির লক্ষ্য ছিলো জনগণের সম্ভাব্য হার্ড ইমিউনিটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা। এক সপ্তাহে এক হাজার ১১৮ জনের উপর এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এভাবে আগামী আট সপ্তাহ সময়কাল ধরে এটি পরিচালিত হবে। জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, স্টকহোমের বাইরে অন্যান্য অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত ফলাফল পরে প্রকাশ করা হবে।

প্রথম দিকেই এই কৌশলটি নিয়ে সুইডিশ গবেষকরা সমালোচনা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরিতে সফলতার কম সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা সরকারের লক্ষ্য ছিল বলে কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেনি।

এদিকে কঠোর লকডাউন দেয়া বা না দেয়ার মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনে আক্রান্তের সংখ্যার মাঝে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। যেমন মে মাসের মাঝামাঝি স্পেনে মাত্র পাঁচ শতাংশ মানুষের দেহে এন্টিবডি পাওয়া গেছে। যা হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের থেকে বহুদূরে রয়েছে।

হার্ড ইমিউনিটিতে তখনই পৌঁছানো যায় যখন প্রদত্ত জনগোষ্ঠীর ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ একটি সংক্রামক রোগের প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। এটা তখনই অর্জিত হতে পারে যখন উক্ত সংখ্যক মানুষ সংক্রামিত হয়, সুস্থ হয় বা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে ইমিউনিটি অর্জিত হয়। যখন হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয় তখন রোগটি কম ইমিউনিটির লোকদের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। কারণ এসব লোকের কাছে রোগটি পৌঁছানোর মতো তখন পর্যাপ্ত সংখ্যক সংক্রামক বাহক আর থাকে না।

প্রসঙ্গত, জন হপকিন্স এর তথ্য অনুযায়ী সুইডেনে এ যাবৎকালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১৭২ জনে। মোট মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৮৭১ জনের।

হার্ড ইমিউনিটিতে তখনই পৌঁছানো যায় যখন প্রদত্ত জনগোষ্ঠীর ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ একটি সংক্রামক রোগের প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। এটা তখনই অর্জিত হতে পারে যখন উক্ত সংখ্যক মানুষ সংক্রামিত হয়, সুস্থ হয় বা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে ইমিউনিটি অর্জিত হয়। যখন হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয় তখন রোগটি কম ইমিউনিটির লোকদের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। কারণ এসব লোকের কাছে রোগটি পৌঁছানোর মতো তখন পর্যাপ্ত সংখ্যক সংক্রামক বাহক আর থাকে না।

প্রসঙ্গত, জন হপকিন্স এর তথ্য অনুযায়ী সুইডেনে এ যাবৎকালে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১৭২ জনে। মোট মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৮৭১ জনের।

সূত্র : সিএনএন


আরো সংবাদ



premium cement