১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙ্গলে ইতালিতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

- সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যার হিসেবে চীনকে ছাড়িয়েছে স্পেন। মোট মৃত্যুর হিসেবে এখন পর্যন্ত বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইউরোপের এই দেশটিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে মারা গেছে ৭৩৮ জন। এ নিয়ে স্পেনে কোভিড-১৯ রোগে মোট মৃতের সংখ্যা ৩,৬৪৭।

করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত চীনে তিন হাজার ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশ ইতালিতে মারা গেছে সাত হাজার ৫০৩ জন। স্পেনে সংক্রমণের হার বেড়ছে পাঁচগুণ এবং বর্তমানে প্রায় ২৭ হাজার মানুষকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। ভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে রাজধানী মাদ্রিদে, তবে উত্তর-পূর্বের কাতালোনিয়া অঞ্চলে দ্রুতবেগে বাড়ছে সংক্রমণের হার।

সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত চার লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ইউরোপ এখন এই প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র। ইতালিতে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৬৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা সাত হাজার ৫০৩ জন। গত চারদিন ধরে ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা কমছে।

ভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করতে আরোপ করা আইনের বাস্তবায়নে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইতালি। ভাইরাস শনাক্ত হওয়া কোনো ব্যক্তি যদি কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভাঙ্গেন, তাহলে তাকে জরিমানাসহ সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড শাস্তির নিয়ম করা হয়েছে।

ফ্রান্সে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে ২৩১ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৩৩১ জনে। স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জেরোম সালোমন বলেছেন, লাইফ সাপোর্ট প্রয়োজন হচ্ছে এমন মানুষের সংখ্যা ফ্রান্সে ১২ শতাংশ বেড়েছে এবং 'মহামারি পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে।'

জার্মানিতে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে মারা গেছে ২০৬ জন। যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে কোভিড-১৯ এ, মারা গেছে ৪৬৬ জন। সুইজারল্যান্ডে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫৩। আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ।

তবে ইউরোপের প্রধান শহরগুলোতে মানুষ অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা কমেছে। ইউরোপিয়ান এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, ইতালির মিলান শহরের বাতাসে ২০১৯ সালের একই সপ্তাহের তুলনায় ২১ শতাংশ কম নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে। মাদ্রিদের নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড মাত্রা কমেছে ৪১ শতাংশ এবং পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে কমেছে ৫১ শতাংশ। সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement