২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইতালির রাস্তায় লাশ পড়ে থাকার খবর, যা বলছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা

ইতালির ব্লুমবার্গের ক্রেমোনা হাসপাতালের বাইরে তৈরি করা একটি ফিল্ড হাসপাতালের ডাক্তাররা নিজেদের জীবাণুমুক্ত করছেন। - ছবি : ব্লুমবার্গ

ইতালির রাস্তায় এক ব্যক্তির পড়ে থাকার একটি ছবি প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচার হওয়া করোনাভাইরাসের ভয়াবহ চিত্রের খবরটির সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন ব্লুমবার্গের ব্রেশিয়ার বাসিন্দা বাংলাদেশী এক ব্যক্তি।

বাংলাদেশের মিরপুরের বাসিন্দা আমিন লিংকু নামে ওই ব্যক্তি বলছেন, করোনাভাইরাসরোধে ইতালি সরকারের উদ্যোগ অনেক ভালো। জনগণের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এবং লকডাউনকালীন খাবার ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার।

প্রায় ১৪-১৫ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছেন বলে আমিন লিংকু জানান, কেউ ফোন দিলেই স্বাস্থ্যকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে হাজির হচ্ছেন। সরকারিভাবে বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মিউনিসিপ্যাল থেকে সরবরাহ করা নির্দিষ্ট ফরম দেখিয়ে বাসিন্দারা খোলা থাকা নিত্যপণ্যের দোকান থেকে কেনাকাটা করতে পারছেন।

তাদের কর্মস্থল থেকেও তাদের খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। অগ্রিম দেয়া হয়েছে নির্দিষ্ট বেতনের ৭৫ শতাংশ। সার্বিকভাবে তিনি সন্তুষ্ট- নয়া দিগন্ত অনলাইনের সাথে টেলিফোন কথোকপথনে এমনটাই জানালেন আমিন লিংকু।

চারদিক জনমানবহীন। পিনপন নিরবতা। ইতালির ব্যস্ত রাস্তাগুলো এখন এমনই প্রাণহীন। সেই প্রাণহীন সড়কে পড়ে আছেন এক ব্যক্তি। মুখে মাস্ক পরা। রোমের একটি বাস স্টপের যাত্রী ছাউনির সামনে রাখা একটি ব্যাগ। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, কোথাও যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গন্তব্যে আর পৌঁছাতে পারেননি। বাসের অপেক্ষায় থাকতে থাকতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। শুনশান নিরব রাস্তায় পড়ে থাকেন তিনি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মিরর এ ছবিটি প্রকাশ করে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করতে পারেনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কতক্ষণ ওই ব্যক্তি এইভাবে রাস্তায় পড়ে ছিলেন কেউ জানে না। এক সময় একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে তাকে নিয়ে যায়। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন? কেমন আছেন? কোনো হাসপাতালে আছেন কিনা, তা জানাতে পারেনি।

এদিকে, ইতালিতে সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে এই ভাইরাস। ওয়াল্ডওমিটার্সের হিসাব অনুযায়ী, করোনায় সবচেয়ে বেশি লোক মারা গেছে ইতালিতে। সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। চীনে যেখানে মারা গেছে তিন হাজার ২৭৭ জন, সেখানে ইতালিতে ছয় হাজার ৭৭ জন। প্রায় দ্বিগুণ! দেশটিতে এখনো আক্রান্ত আছেন ৫০ হাজার ৪১৮ জন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল