২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডাচ শহরে প্রথম ইসলামি ফ্যাশন শো

-

নেদারল্যান্ডসে এই প্রথম ইসলামি ফ্যাশন শো বা শরিয়াহ-সম্মত শালীন পোশাক প্রদর্শনী হয়ে গেল। উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশটির রাজধানী আমস্টারডমে এক সপ্তাহ ধরে চলছে এই আয়োজন।

যেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলিম ডিজাইনার ও মডেল-কন্যারা অংশ নেন। ৭ দিনের এই শোয়ে তিনদিন ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ছিল মুসলিম ফ্যাশন প্রদর্শনীর আয়োজন। যাতে মোট ৩০ জন ফ্যাশন ডিজাইনার মোট ৭টি ইভেন্ট করেন।

এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ‘থিঙ্ক ফ্যাশন’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাঙ্কা সোয়েরিয়া বলেন, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং মিশ্র সাংস্কৃতির শহর নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডম। বিভিন্ন জাতি ও ধর্ম বিশ্বাসের মানুষের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সামাজিক সহাবস্থান এখানকার ঐতিহ্য ও গর্ব। তাই এবার প্রথম মুসলিমদের শরিয়াহ-সম্মত শালীন পোশাকের প্রদর্শনী করা হয়। প্রথম বছর হলেও ভালো সাড়া পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, থিঙ্ক ফ্যাশন সংস্থার উদ্যোগেই এর আগে গত আড়াই বছরে তুরস্কের ইস্তান্বুল, ব্রিটেনের লন্ডন, আরব আমিরাতের দুবাই ও ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ইসলামি ফ্যাশন শোয়ের আয়োজন করা হয়।

ফ্রাঙ্কা সোয়েরিয়ার দাবি, প্রতিটি আয়োজনই ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে এবং সফল হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের জনসংখ্যার মাত্র ৬ শতাংশ বা ১০ লক্ষাধিক মুসলিমের বসবাস। দেশটির মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ৭০ লক্ষ। তিনি এও বলেন, ২০১৮ সালে হিজাবসহ ইসলামি ফ্যাশনেবল পোশাক নির্মাণ শিল্পে বিভিন্ন কোম্পানি ৪২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার লগ্নি করে। তার মধ্যে বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা শরিয়াহ-সম্মত শালীন পোশাক কিনতে ৩২ হাজার ২০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছেন।

সুতরাং এর বিপুল চাহিদা ও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ফ্রাঙ্কা। তার কথায়, শালীন পোশাকের বাজার ক্রমেই র্ধ্বমুখী। কারণ, আগেকার দিনে সাধারণত গৃহবধূ বা বিবাহিত মহিলারাই বোরকা বা হিজাব পরতেন। কিন্তু গত এক দশকে দেখা যাচ্ছে স্কুল-কলেজ ছাত্র থেকে শুরু করে পেশাজীবী তরুণীদের মধ্যেও স্কার্ফ, হিজাব পরার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র : পূবের কলম


আরো সংবাদ



premium cement