প্রকাশিত হলো রাজুর ‘হাসিনা কাব্য’

আগামীকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। তার জন্মদিনকে উপলক্ষ করেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত মেধাবী পরিচালক জাকির হোসেন রাজু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিকে ঘিরে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং কবির পয়েন্ট অব ভিউ থেকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে ছোট ছোট কবিতা লিখেছেন। রাজু তার বইয়ের নামকরণ করেছেন ‘হাসিনা কাব্য’। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে বাংলাদেশের জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। উৎসর্গে রাজু জাতির পিতাকে নিয়ে যে কবিতাটি লিখেছেন তা হলো, ‘যেদিন ৩২ নম্বরে, ঝরেছিল রক্ত তোমার, সেই থেকে ঝরছে রক্ত, হৃদয়ে আমার, তোমার রক্তে ছিল না তো পাপ, তাই আজ ৩২ নম্বর হয়ে গেছে রক্ত গোলাপ।’ গত সোমবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর কাওরান বাজারে অবস্থিত বিএফডিসির ভিআইপি প্রজেকসন হলের ‘হাসিনা কাব্য’ প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেসসচিব শাখাওয়াত মুন, চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎসহ আরো বেশ কয়েকজন। অনুষ্ঠানে রাজুর হাত ধরে চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে যার অভিষেক হয় অর্থাৎ চিত্রনায়ক সাইমনও উপস্থিত ছিলেন। রাস্তায় যানজটের কারণে অন্যান্য অতিথিদের আগমন দেরিতে হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা পরে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে বিশেষ অতিথি শাখাওয়াত মুন নির্ধারিত সময়েই উপস্থিত ছিলেন। শাখাওয়াত মুন বলেন, ‘জাকির হোসেনর রাজু একজন চমৎকার চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি বেশ দায়িত্ববোধ নিয়েই দেশ, সমাজ, জাতির ভাবনাকে মাথায় রেখেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তবে এবার তার অন্যরকম একটি আবিষ্কার দেখলাম তার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনায় তার যে অভিব্যক্তি তা একজন পরিচালক রাজুর চোখে ধরা পড়েছে যা কোনো অভিনয় নয় যা বাস্তব। তা অনুধাবন করে তিনি তার হাসিনা কাব্যে তুলে ধরেছেন। তো আমার আব্বা তাকে ভীষণ ¯েœহ করতেন। যে কারণে আমি তাকে চাচা বলে সম্বোধন করি। রাজু চাচা তার যেকোনো কাজেই আমাকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেন এবং তাতে আমি ভীষণ সম্মানীত বোধ করি, গর্ববোধ করি। আমি হাসিনা কাব্যের সাফল্য কামনা করছি।’ চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় জাকির হোসেন রাজু স্যারের হাত ধরেই জি হুজুর সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আমার আগমন। আমি ভীষণ গর্ববোধ করি যে তিনি আমার ওস্তাদ। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তিনি যেমন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন, আমারও সেই সৌভাগ্য হয়েছিল। আমি স্যারের হাসিনা কাব্যের সফলতা কামনা করছি।’