আমাদের সন্তান এসেছে, এই আনন্দ প্রকাশ করা সম্ভব নয় - শরিফুল রাজ
- ১১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
অল্প দিনের ব্যবধানে দুটি হিট সিনেমা আপনার। অনুভূতি কেমন?
‘পরান’ এবং ‘হাওয়া সিনেমা দুটি নিয়ে আগে থেকেই ভালো কিছু হবে আশা ছিল। সেটির পূর্ণতা যখন এলো স্বাভাবিকভাবেই ভালো অনুভূতি হওয়ার কথা। তবে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে দর্শকদের উচ্ছ্বাস। তাদেরকে তৃপ্তি দিতে পেরেছি, বিনোদন দিতে পেরেছি, হলমুখী করতে পেরেছি এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।
‘পরান’ ঘিরে রাজের এত প্রশংসা, সেটা কিভাবে উদযাপন করছেন?
প্রশংসা তো ভালোই লাগে। এটা আরো ভালো কাজের উৎসাহ দেয়। একটা সিনেমা করে আসার পর সেই সিনেমার চরিত্র নিয়ে, সিনেমা নিয়ে মানুষ কথা বলছে এত প্রশংসা করছে, সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়- যে চরিত্রটি করতে গিয়েছিলাম, সেই চরিত্রটি মনে হয় ঠিকঠাক করে আসতে পেরেছি। যার কারণে মানুষের এত ভালোবাসা, এত প্রশংসা। এই উদযাপনটা আমার নয়, আমার দর্শকদের, যারা আমাকে নিয়ে এত আলোচনা করছে, প্রশংসা করছে এই ক্রেডিটটা তাদেরই।
‘পরান’ কি আপনার চলচ্চিত্রজীবনের নতুন দ্বার উন্মোচন করল?
‘পরান’ আমার জীবনের নতুন দ্বার উন্মোচন করল কি না বলতে পারব না, তবে পরান আমার জীবনের করা কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম একটা কাজ, যে কাজে আমি এত সাড়া পাই, আমাকে নিয়ে এত প্রশংসা হয়, এত আলোচনা হয়। আমার চলচ্চিত্রে কাজ করতে এসে মনে হয় আর কোনো কাজ নেই যেই কাজে এত সাড়া পেলাম আমি। পরান আসলে ওই জায়গাটাই স্পেশাল থাকবে আমি যত দিন ফিল্মে থাকি; যে একটা সিনেমাতে আমি অভাবনীয় সাড়া পাই। আমার মনে হয় এটা আমার জীবনের অন্যতম একটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকল।
পরানের রেশ থাকতেই ‘হাওয়া’ মুক্তি পেয়েছে। এটাও হিট। আপনি কি মনে করেন দুই সিনেমা মুক্তির সময়ের ব্যবধান আরো বেশি হওয়া উচিত ছিল?
শুরুতে মনে হয়েছিল ‘হাওয়া’ সিনেমা আরো কিছুদিন পর মুক্তি দিলে ভালো হতো। কিন্তু এখন মনে হয়েছে ‘হাওয়া’ সঠিক সময়েই মুক্তি পেয়েছে। ‘পরান’ যেভাবে দেখল বাংলা সিনেমার দর্শকরা। এত মানুষ যে বাংলা সিনেমার জন্য পাগল, আমার মনে হয় ‘পরান’-এর ইমপ্যাক্ট ‘হাওয়া’তেও পড়েছে। দর্শকদের অনেক রিয়েকশন আমার কাছে এসেছে যারা একদিনে ‘পরান’ এবং ‘হাওয়া’ দেখেছে। অর্থাৎ পরপর দুটি ভালো সিনেমা দর্শকদের হলমুখী করেছে এবং হলে অন্যদের ডেকে আনতে সহযোগিতা করেছে।
আপনার অর্ধাঙ্গিনী পরীমণির সঙ্গে এইসব নিয়ে আলাপ হয়? দুটি সিনেমা নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া কী?
পরী তো আসলে সব সময় এগুলো নিয়ে আলাপ করে বাসায় এলেই। আর সে চমৎকারভাবে আমাকে সাপোর্ট করে। সবার প্রতিক্রিয়া-আলোচনায়-প্রশংসা সবকিছু মিলে সে অনেক হ্যাপি। আসলে ওর সাপোর্টেই আমি এতো ভালো কাজ করতে পেরেছি।
পরীমণি এবং আপনি বাবা-মা হয়েছেন। সন্তানের নাম আগেই রেখেছিলেন। এখন অনুভূতি কেমন হচ্ছে?
মা ও ছেলে উভয় সুস্থ আছেন। সবাই দোয়া করবেন। এই মুহূর্তের আনন্দ আসলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যারা বাবা-মা হয়, কেবল তারাই এটা বুঝবে। শেষ ক’টা দিন ওর সঙ্গে সবসময় ছিলাম আমি। প্রতিটি দিন নতুন নতুন অনুভূতির স্পর্শ পেয়েছি আমরা। অবশেষে আমাদের সন্তান আমাদের কাছে এসেছে।’
দর্শকদের এত ভালোবাসার বিপরীতে তাদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
আসলে আমার কাজগুলো যারা পছন্দ করেন, প্রশংসা করে লেখালেখি করেন, যারা আমার কাজ নিয়ে এত মাতামাতি করেন; আমার এই কাজের ক্রেডিটটা তাদেরই। আমাকে যারা মন ভরে ভালোবাসা দিলেন, জড়িয়ে ধরে ভালোবাসা দিলেন, আমি তাদেরকে অনেক ভালোবাসি- অনেক ভালোবাসি। এই ভালোবাসার ঋণ তো আসলে শোধ হয় না, ভালোবাসাটা ভালোবাসা দিয়েই দিতে হয়। আমি তাদের কাছে দোয়া চাইব, আমি যেন সুস্থ স্বাভাবিকভাবে থাকতে পারি এবং ভালো কিছু কাজ উপহার দিতে পারি তাদের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা