২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শিল্পকলায় শেষ হলো দু’দিনব্যাপী যন্ত্রসঙ্গীত উৎসব

-

যুগে যুগে সঙ্গীতপ্রেমী মানুষেরা গানের মাঝে নিজেদের সুখ, দুঃখ খুঁজে নেবার চেষ্টা করেন। গানের বাণীতে নিজেদের জীবনের সাদৃশ্য খুঁেজ নেবারও চেষ্টা করেন। কিন্তু শিল্পীর কণ্ঠে গানের বাণী ছাড়াও বিভিন্ন যন্ত্র নানান আঙ্গিকে যে সুরের মূর্ছনা সৃষ্টি করে এবং যারা সেই যন্ত্র বাজিয়ে গানটিকে করে তুলে অর্থবহ তারাই যেন জীবনের পুরোটা সময়ই পিছনেই পড়ে রয়। সেই পিছনে পড়ে থাকা বা নেপথ্যে থাকা মানুষগুলোকে নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবছরই যন্ত্রসঙ্গীত উৎসবের আয়োজন করে। কণ্ঠসঙ্গীতের সাথে অনুষঙ্গ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হলেও শুধু যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশনের দর্শক চাহিদাও কম নয়। বীনা, সেতার, সরোদ, তবলা, সানাই, তার সানাই, গীটার, এসরাজ, বাঁশি, সারেঙ্গী, একতারা, দোতারা, বেহালা ইত্যাদির একক বাদন এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রসঙ্গীতের যুগলবন্দী বা সমবেত বাদন আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশে যন্ত্রসঙ্গীত চর্চার গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। গেলো ২৮ ও ২৯ জুন ২০২২, দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলাকেন্দ্র মিলনায়তনে ‘জাতীয় যন্ত্রসঙ্গীত উৎসব’ আয়োজন করা হয়। দুই দিনব্যাপী জাতীয় যন্ত্রসঙ্গীত উৎসবে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ও স্বনামধন্য যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদের পরিবেশনা উপস্থাপিত হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক কাজী আফতাব উদ্দীন হাবলু। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিচালনা করেন তবলা বাদক এবং সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের সঙ্গীত পরিচালক চন্দন দত্ত। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এবং সঙ্গীত নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় আয়োজন করা হয়। জাতীয় যন্ত্রসঙ্গীত উৎসবের উদ্বোধনী পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যন্ত্রশিল্পীরা। প্রযোজনা - ত্রিদ্বীপ। যন্ত্রসঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন অন্তু গোলন্দাজ, যন্ত্রসঙ্গীত তত্ত্বাবধানে ছিলেন চন্দন দত্ত।


আরো সংবাদ



premium cement