২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঈদের সিনেমায় আশার আলো

ঈদের সিনেমায় আশার আলো -

দীর্ঘদিন ধরে দর্শকখরায় ভুগছে বাংলাদেশী সিনেমা। দুই বছর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে অবস্থা আরো নাজুক হয়ে যায়। একের পর এক বন্ধ হতে থাকে সিনেমা হল। এক পর্যায়ে সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ থাকা অনেক হল খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও নতুন সিনেমা মুক্তি না দেয়ায় শুরু হয় সমালোচনা। তবে প্রযোজকরা সমালোচনাকে পাত্তা দেননি। তাদের দাবি বড় বিনিয়োগের ছবি মুক্তির আগে হলে দর্শক ফেরার নিশ্চয়তা লাগবে। সেই নিশ্চয়তা ছাড়াই এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে চারটি চলচ্চিত্র। তবে হতাশ হতে হয়নি প্রযোজকদের। দুই সিনেমায় প্রত্যাশানুযায়ী দর্শক উপস্থিতি আশার আলো দেখাচ্ছে সিনেমাপ্রেমীদের। বাকি দু’টি দর্শক পায়নি। কারণ তাদের প্রচারণা এবং নির্মাণশৈলী দুটোরই অভাব লক্ষ করা গেছে। কোনো তারকাশিল্পী না থাকায়, হুট করে প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই ছবি মুক্তি পাওয়ায় এবং মানহীন নির্মাণের কারণে ‘বড্ড ভালোবাসি’ ছবিটি কোনো আশাই জাগায়নি। মাত্র চারটি হলে ছবিটি মুক্তি পেয়ে দর্শকখরায় দিন পার করছে। তবে দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের ‘বিদ্রোহী’ ছবিটির ব্যবসায়ও নিরাশাজনক। অথচ কয়েক বছর আগেও ঈদে শাকিব খানের একাধিক ছবি মুক্তি পেয়ে ভালো ব্যবসায়ও করেছে। এবার তার ও শবনম বুবলী অভিনীত ‘বিদ্রোহী’ ব্যর্থ হওয়ার পেছনে কিছু কারণও রয়েছে। প্রথমত ছবিটি বেশ আগে নির্মিত। তবে সবচেয়ে বড় বাধা এ ছবির প্রচারহীনতা। ছবির নায়ক আর প্রযোজকের দ্বন্দ্ব শোবিজের সবার জানা। এ জন্যই নাকি নায়ক সেভাবে কোনো প্রচারণাই চালাননি ছবিটির। শেষদিকে নায়িকা বুবলী কিছুটা হাল ধরলেও দর্শক টানার মতো তারকাখ্যাতি এখনো হয়তো অর্জন করতে পারেননি! তবে শাকিব খানের আরেক সিনেমা ‘গলুই’ নিয়ে দর্শকের মধ্যে হইচই দেখা যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবির পরিচালক এস এ হক অলিক, নায়ক-নায়িকা শাকিব খান ও পূজা চেরী প্রতিনিয়ত এই ছবির হলভর্তি দর্শকের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করছেন। যা করোনার কারণে গত দুই বছর দেখাই যায়নি। আবার দর্শক হলে আসছেন। বেশির ভাগ দর্শক সিনেমা হলে আসছেন শাকিব খানের টানে। এই নায়ক দেশে নেই, তারপরও যে তার জনপ্রিয়তা দর্শকের কাছে অনন্য তা ‘গলুই’ ছবিটি প্রমাণ করছে। স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম দিন গলুইয়ের দর্শক বেশ ভালো ছিল। তাদের প্রত্যাশা, আরো দর্শক বাড়বে। কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমা খুলেছে ‘গলুই’ ছবি দিয়েই। সেখানে দর্শক শাকিব খানের নাম উচ্চারণ করে হাঁকতে হাঁকতে হল থেকে বের হচ্ছেন। সেনা অডিটোরিয়ামেও ছিল চোখে পড়ার মতো দর্শক। হলটির দায়িত্বে থাকা বুকিং এজেন্ট মশিউর রহমান জানান, ‘সাভার নবীনগর এলাকায় একচেটিয়া শাকিব খানের ছবি চলে। দর্শকদের চাওয়ার কারণে প্রতিদিন পাঁচটি শো চলছে সেনানিবাসে।’ ঢাকার বাইরে জামালপুর, বগুড়াসহ কয়েকটি জেলায় ছিল হাউজফুল দর্শক। বগুড়ার সোনিয়া হলের দায়িত্বে থাকা সাজেদ ইসলাম রানা বলেন, ‘প্রথম দিন গলুইয়ের চারটি শোয়ের তিনটি হাউজফুল গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement