সবাই মিলে চলচ্চিত্র শিল্প সুন্দর করে সাজাতে চাই : ইলিয়াস কাঞ্চন
- ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০, আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২২, ২০:২৭
প্রশ্ন : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী?
ইলিয়াস কাঞ্চন : নির্বাচনে লড়াই করার বিষয়টি হঠাৎ জানানো হলেও আসলে দীর্ঘদিন ধরেই আলাপ-আলোচনা চলছিল। সত্যি বলতে কী, আমি কোনো নির্বাচনের জন্য আগ্রহী নই। আমি যে নিজের ইচ্ছায় প্রার্থী হয়েছি, তা নয়; আমাকে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের অবস্থা ও পরিণতি সম্পর্কে তরুণরা বলছিল। তরুণদের কথা ভেবে দেখলাম, তারা আমাকে ভুল বলেনি। চলচ্চিত্র সহকর্মীদের পাশাপাশি বাইরেরও অনেকে আমাকে নির্বাচন করার পরামর্শ দিয়েছেন। আমার সহকর্মীদের মধ্যে শুধু যে শিল্পী সমিতির লোকজন, তা কিন্তু নয়। প্রযোজক, নির্মাতা, ক্যামেরাম্যান, নাচের অ্যাসোসিয়েশন ও ফাইটার গ্রুপ, মেকআপম্যানের গ্রুপ সবাই আমাকে বলেছে। তাদের আবদার না করতে পারিনি। তাদের প্রতি ভালোলাগা ও ভালোবাসা থেকেই শিল্পী সমিতির নির্বাচনে লড়াই করছি। তারা আমার কাছে একটাই দাবি নিয়ে এসেছেন। তা হলো- সবাই মিলে চলচ্চিত্র শিল্প সুন্দর করে সাজাতে চাই। তাদের এই আহ্বান আমার ভালো লেগেছে।
প্রশ্ন : প্যানেল কীভাবে সাজিয়েছেন...
ইলিয়াস কাঞ্চন : চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন আগামী ২৮ জানুয়ারি। এরই মধ্যে আমরা প্যানেল চূড়ান্ত করেছি। আমার সাথে সেক্রেটারি পদে লড়ছেন নিপুণ। আমি ওর সম্পর্কে যতদূর জানি, সে নীরবে-নিভৃতে আমাদের সিনেমার মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছে। ওর এই গুণটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। ওর মানসিকতার সাথে আমার মানসিকতা মিলে যাওয়ার কারণেই একসাথে নির্বাচন করছি। আমাদের উভয়ের মানসিকতা হচ্ছে মানুষের উপকার করা।
প্রশ্ন : আপনার প্যানেলে নতুনদের প্রাধান্য দেখা গেছে। এর কারণ কী?
ইলিয়াস কাঞ্চন : নতুন-পুরোনো মিলিয়েই আমাদের প্যানেল। আমার কাছে যাদেরকে সাংগঠনিক মনে হয়েছে তাদেরকেই ডেকে এনেছি। রিয়াজ, ফেরদৌসকে রেখেছি। আমার একটাই জীবন। এই জীবনে যেন আফসোস না থাকে, আমাকে যে অঙ্গন আজকের ইলিয়াস কাঞ্চন বানিয়েছে, তার জন্য কিছু করলাম না। এই আফসোস যেন আমার না করতে হয়। তাই চেষ্টা করে দেখি, আগামী দুই বছর চলচ্চিত্রের জন্য কিছু করতে পারি কি না বা কিছু করা যায় কি না।
প্রশ্ন : আপনার জয়ী হলে কি চলচ্চিত্রের বর্তমান সঙ্কট সমাধান হবে?
ইলিয়াস কাঞ্চন : কী হবে জানি না; কিন্তু আমরা সম্মিলিতভাবে চেষ্টা তো করতে পারি। চেষ্টা না করলে কোনোদিনই কিছু হয় না। সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, ‘তোমরা যতক্ষণ না তোমাদের অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা না করবে, ততক্ষণ আমিও তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন করব না।’ তাই তো আমরা সবাই মিলে চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই। এখন এফডিসিতে সিনেমাই নির্মিত হচ্ছে না। এফডিসিতে শিল্পীদের কাজের পরিবেশ নেই। এই পরিবেশটা ফিরিয়ে আনা বেশি প্রয়োজন। আমরা শিল্পীরা সরকারের অনুদান নিয়ে ঘরে বসে খেতে চাই না। কাজ করে সম্মান নিয়ে বাঁচতে চাই। কারণ, আমরা চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি। এ ভালোবাসার জায়গাটা সুন্দর থাকুক। এ জন্য সবাই মিলে কাজ করা দরকার। সবার মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেটা কমিয়ে এনে সবাই মিলে যেন এখানে কাজ করতে পারি- এটাই এখন আমার মূল লক্ষ্য। আমার কারো প্রতি রেষারেষি নেই। আমরা শিল্পীরা সবাই ভাই ভাই। চলচ্চিত্রের সব সমস্যা সমাধানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই সবাই মিলেই কাজ করতে চাই। আমার বিশ্বাস, সবাই আমার সাথে থাকবেন।
প্রশ্ন : সম্প্রতি একটি সিনেমারও কাজ করেছেন। সার্বিকভাবে কাজের অগ্রগতি কেমন?
ইলিয়াস কাঞ্চন : দীর্ঘদিন পর চিত্রনায়িকা রোজিনার পরিচালনায় ‘ফিরে দেখা’ সিনেমার কাজ শেষ করেছি। পাশাপাশি আরো কয়েকটি সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা