২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রিয়েলিটি শো থেকে বেরিয়েও সফল তারা

রিয়েলিটি শো থেকে বেরিয়েও সফল তারা - ছবি : সংগৃহীত

২০০৮ সালের ‘সেরাকণ্ঠ’খ্যাত তিন তারকা সঙ্গীতশিল্পী ঝিলিক (চ্যাম্পিয়ন), ইমরান (দ্বিতীয়) ও ইউসুফ আহমেদ খান (সেরা ছয়)। তিনজনই নিজেদের গায়কী ও মেধা দিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে আলাদাভাবে নিজ নিজ অবস্থান সৃষ্টি করেছেন। একজন গায়ক হিসেবে ইমরান যেমন খ্যাতির চূড়ায় নিয়ে গেছেন নিজেকে ঠিক তেমনি একজন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও ইমরান নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। অন্য দিকে, গানের পাশাপাশি ইউসুফও বর্তমানে সঙ্গীত পরিচালনাতেও বেশ ভালো করছেন। ঝিলিক শুধু গান গাওয়ার মধ্যেই নিজেকে মগ্ন রেখেছেন।

দীর্ঘ ১৩ বছরে তারকাখ্যাতি পেলেও নিজেদের মধ্যে রয়েছে এই তিন তারকা শিল্পীর চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তাদের রিয়েলিটি শোর প্রধান দুই বিচারক ছিলেন রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিন। এ তিনজন প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ‘আগের চেয়ে ইমরান, ঝিলিক ও ইউসুফ বেশ ইমপ্রুভ করেছে। আমার কাছে মনে হয় কোনো চ্যানেল বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তাদের আরো অনেক মৌলিক গান প্রকাশের ক্ষেত্রে যদি বিশেষভাবে পাশে দাঁড়াত, তাহলে তাদের আরো অনেক ভালো ভালো মৌলিক গান প্রকাশের সুযোগ থাকত। অবশ্যই তাদেরও উচিত নিয়মিত সঙ্গীত চর্চায় থাকা।’ সেরাকণ্ঠের সেই সময়ের চ্যাম্পিয়ন ঝিলিক বলেন, ‘আমি আমার নিজের অবস্থান নিয়ে ভীষণ সন্তুষ্ট, আলহামদুলিল্লাহ। ইমরানের স্বপ্ন ছিল একজন সফল সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার। তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। নিঃসন্দেহে ইমরান একজন ভালো সঙ্গীতশিল্পী, দেশজুড়েই নয়- দেশের বাইরেও রয়েছে তার খ্যাতি। ইমরান আমার খুব ভালো একজন বন্ধু, ভালো মানুষ তো বটেই। আর ইউসুফ ভাই যোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তার কণ্ঠে এক ধরনের জাদু আছে। তিনি একজন শিক্ষিত সঙ্গীতশিল্পী।

আমি গর্ব বোধ করি যে, আমি তার সুরে গান গেয়েছি। এই প্রজন্মের একজন অন্যতম শিক্ষিত সঙ্গীতশিল্পী তিনি।’ ইমরান বলেন, ‘আলহামদুলিল্লøাহ, যে স্বপ্ন আর আশা নিয়ে পথচলা শুরু হয়েছিল তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে। তবে মানুষের স্বপ্নের তো আসলে শেষ নেই, মানুষের আরো ভালোবাসা পেতে চাই। একজন গায়ক হিসেবে ভালোবাসা পেয়েছি, একজন কম্পোজার হিসেবেও পেয়েছি। আমার কম্পোজিশনে তাহসান ভাইয়ের ‘কেউ না জানুক’ কিংবা মিলনের ‘সখী ভালোবাসা কারে কয়’-ই তার প্রমাণ। ইউসুফ ভাই তার ঘরানায় আমাদের প্রজন্মের একজন অসাধারণ সঙ্গীতশিল্পী।

ঝিলিক স্টুডিওতে যেমন সুরে গায়, শোতেই সুরে গায়- সবাই তা পারে না। আমার বিশ্বাস ঝিলিক শ্রদ্ধেয় রুনা ম্যাডাম, সাবিনা ম্যাডামদের পথেই হাঁটছে।’ ইউসুফ বলেন, ‘ঝিলিক আমার দেখা সবচেয়ে ভার্সেটাইল শিল্পী। মানুষ হিসেবেও ভালো মনের। ইমরান হলো আমাদের প্রজন্মের গর্ব, সবচেয়ে সফল তারকা সঙ্গীতশিল্পী। তাকে নিয়ে গর্বিত আমরা, নিজের পরিশ্রম ও মেধার ফল সে পেয়েছে। তার গানের গলাটা ভীষণ ফিল্মি, যা সবার হয় না।


আরো সংবাদ



premium cement