২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চলচ্চিত্র সেন্সরের জন্য সংগঠনের পূর্বানুমতি অযৌক্তিক

-

চলচ্চিত্র সেন্সরের জন্য সংগঠনের পূর্বানুমতি অযৌক্তিক। এমনটা দাবি করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে দেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ছয়টি সংগঠন। বিবৃতি দেয়া সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম, বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটি, বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ, বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট, ঢাকা ডকল্যাব ও ফিল্ম উইদাউট ফিল্ম।
বিবৃতিতে বলা হয়, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির সম্প্রতি (রোববার) অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উঠে আসা কিছু সুপারিশ এবং বক্তব্য আমাদের কাছে অনভিপ্রেত এবং সামগ্রিকভাবে দেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতির সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হয়েছে। বিশেষ করে চলচ্চিত্র সেন্সরের জন্য একটা বেসরকারি সংগঠনের পূর্বানুমতি নেয়ার দাবিটি যেমন নিয়মবহির্ভূত, তেমনি অযৌক্তিক এবং হাস্যকর।
এ ছাড়া সভায় উঠে আসা ‘অনুদানের ছবিতে শুধু আর্ট ফিল্ম নয়, এখন বাণিজ্যিক ছবির সংখ্যা বাড়ানো হবে’-বক্তব্যটি অনুদান নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। বাণিজ্যিক ছবির প্রযোজনায় কেন জনগণের অর্থ ব্যয় হবে তার ব্যাখ্যা যেমন আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়, তেমনি কেন ২০টি প্রেক্ষাগৃহে এসব ছবি মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে নির্মাতার কেন বাধ্যবাধকতা থাকবে তারও কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যা নেই। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শিল্প-সংস্কৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে যদি ব্যবসার অংশে পরিণত করা হয় তবে তা হবে স্বেচ্ছাচারী এবং অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। এখন আমাদের সবারই উচিত জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালাকে সামনে এনে সেই ভিত্তিতে চলচ্চিত্র সংস্কৃতির বিকাশকে ত্বরান্বিত করা।
আমাদের তরুণ নির্মাতারা ইতোমধ্যেই তাদের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে অনেক সুনাম এবং পুরস্কার অর্জন করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement