২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পৃথিবীর সব মাকে শ্রদ্ধা

-

কনকচাঁপা : মা, এত মিষ্টি একটি ডাক, একটি অনুভব, এত দৃঢ় একটি বন্ধন, এত বড় আল্লাহর নেয়ামত যা আসলে বাতাসে অক্সিজেন এর মতো। দেখা না গেলেও উপস্থিতি টের পাওয়া যায় দমে দমে। আমার মা আমার অক্সিজেন, আমার ডিকশনারি, আমার কাঁটাতারের বেড়া, আমার বেলী ফুলের বাগান, আমার ঘড়ি, আমার ক্যালেন্ডার, আমার দাড়িপাল্লা এবং অনুভবের বিশ্বকোষ। মায়ের জন্য আমি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী মানুষ আলহামদুলিল্লাহ। আমার মায়ের বয়স হয়েছে ৭৪! এখনো তিনি নিজের কাজ নিজে করেন, ধর্মকর্ম তো আছেই।
মমতাজ বেগম : আমার মায়ের নাম উজালা বেগম। সারাটা জীবনই আমার মা তার সন্তানের জন্যই কষ্ট করে গেলেন। আমার আজকের মমতাজ হয়ে ওঠা, আমার আজকের সংসদ সদস্য হয়ে ওঠা সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠার নেপথ্যে যে মানুষটির অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই তিনি আমার মহান হৃদয়ের অধিকারী আমার মা। আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা যে তিনি এমন মায়ের গর্ভে আমাকে জন্ম দিয়েছেন।
অরুনা বিশ^াস : মায়ের কথা খুব কম কথায় বলা খুব কঠিন। মা হচ্ছেন সেই একজন মানুষ যার তুলনা পৃথিবীতে একমাত্র মাই। সত্যি বলতে কী মায়ের সাথে কারো তুলনা চলে না। শুধু একজনের সাথেই তুলনা চলে তিনি হলেন ঈশ^র। মা হচ্ছেন আমার সেই ঈশ^র।
মৌসুমী : আমি আমার মা-বাবার প্রথম সন্তান। প্রথম সন্তান হিসেবে জন্মের পর থেকেই অনেক আদর, স্নেহ মায়া-মমতায় আমি বেড়ে উঠেছি। মায়ের সাথে সেই ছোটবেলা থেকেই আমার সখ্য। মায়ের আদর স্নেহ ভালোবাসায় প্রত্যেক সন্তানই বেড়ে উঠে। আমার কাছে মনে হয় আমার মা আমাকে একটু বেশিই ভালোবাসতেন। তাই কখনোই আমার মা আমাকে চোখের আড়াল হতে দিতেন না। আম্মা দীর্ঘদিন দেশে নেই। তাকে কাছে থেকে স্পর্শ করতে পারছি না, অনুভব করতে পারছি না, এটাও একটা কষ্টের বিষয়। তারপরও আম্মু যেখানে আছেন যেন সুস্থ থাকেন, ভালো থাকেন-এই দোয়া করি।
ফেরদৌস : আমার মায়ের নাম আসিয়া আশরাফ। আমার মায়ের জন্ম ১৯৪৭ সালে। কুমিল্লার দাউদকান্দির রাজপুরে আমার আম্মার জন্ম। আমাদের পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে আমার অবস্থান পঞ্চম। আমার অভিনয় জীবনের চলার পথে আমার আম্মুর অনুপ্রেরণা, নির্দেশনা কিংবা আদেশ যাই বলি না কেন আমি খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে চলেছি। মায়ের আদেশ মেনে চলেছি বলেই আজ জীবন আমার আলহামদুলিল্লাহ পরিপূর্ণ।
পূর্ণিমা : মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়ায় আমি আজকের পূর্ণিমা। তাই মায়ের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন আমার মাকে সবসময় ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন। সেই মায়েরই মেয়ে আমি নিজেও একজন মা। তাই মায়ের কষ্টটা এখন খ্বু ভালোভাবে বুঝতে পারি। মায়ের কোনো তুলনা হয় না।
আঁখি আলমগীর : আমি খুব ভাগ্যবান একজন সন্তান। আমার বাবার কারণে আমাদের বাসায় অনেক অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীরা বাসায় আসতেন। আবার আমার মায়ের কারণে অনেক কবি-সাহিত্যিকের আনাগোনা ছিল বাসায়। আমার সঙ্গীত জীবনের পথচলায় আমার বাবা-মা সবসময়ই আমার পাশে ছিলেন এবং এখনো আছেন।
চঞ্চল চৌধুরী : আমার মা নমিতা চৌধুরী, আমাদের জীবনজুড়েই রয়েছেন মা। আমার প্রতি আমার মা তার যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছিলেন বিধায়ই আজ আমি প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছি। আমিও আমার মা’ই শুধু নয় আমার বাবার প্রতিও দায়িত্ব পালনের সর্বাত্মক চেষ্টা করি। প্রত্যেক সন্তানের কর্তব্য মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। বিশ^ মা দিবসে সব মায়ের প্রতি রইল শ্রদ্ধা ভালোবাসা।
তারিন জাহান : আমার আম্মুর নাম তাহমিনা বেগম, আমার জীবনের আদর্শ। আমার শক্তি, আমার অনুপ্রেরণা, আমার সবকিছুই আমার মাকে ঘিরে। মা মাটি দেশ, এই তিনটি বিষয়ের মানুষের জীবনে অবদান অনস্বীকার্য। মা শব্দটি তাবৎ পৃথিবী সম্পর্কিত একটি শ্রদ্ধার শব্দ। অভিনয় জীবনের শুরুতে মা’ই ছিলেন আমার কো-আর্টিস্ট। যখন কোনো স্ক্রিপ্ট হাতে পেতাম তখন মাই হতেন আমার কো-আর্টিস্ট। অভিনয়ের চর্চা করতাম এভাবেই। আর এভাবেই আমার অভিনেত্রী হয়ে উঠা। আমার মা যেভাবেই থাকুন, সবসময়ই যেন আল্লাহ ভালো রাখেন এই দোয়া চাই সবার কাছে।’
অপূর্ব, অভিনেতা : আসলে, মাকে কতটা ভালোবাসি সেটা বিশেষ আয়োজন করে বলা হয়ে ওঠে না। আমার খুব মনে পড়ে আমি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি তখন আমার টিউশনির টাকা দিয়ে আম্মুকে ইমটিশেনের গয়না কিনে দিয়েছিলাম। সেটা পেয়ে আম্মুর উচ্ছসিত সেই মুখটি এখনো আমার চোখে ভাসে। আম্মুর শতভাগ উৎসাহে অনুপ্রেরণায় আমি আজকের অপূর্ব।
দিঠি আনোয়ার : আমি আমার মা-বাবার আদর্শেই নিজেকে গড়ে তুলেছি। এটা সত্যি যে আমার আম্মু এক সময় জনপ্রিয় উপস্থাপিকা ছিলেন। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকে আম্মু আমার এবং আমার ভাইয়ের কথা চিন্তা করেই আমাদের জন্যই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। মূল কথা আজকের আমি যা তার পুরোটাই আমার আম্মুর কারণেই হয়ে ওঠা। দোয়া করি আমার আম্মুকে যেন আল্লাহ ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন, দীর্ঘজীবী করেন। পৃথিবীর সব মায়ের জন্য শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।
জাকিয়া বারী মম : আমার আব্বু আম্মুকে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি। আর কোনোদিন আব্বু আম্মুকে কষ্ট দিতে চাই না। আমার জীবনে আমি যা কিছুই ভালো করেছি তার সবই আম্মা আব্বার অবদান। আমার আম্মু একজন অধ্যাপক। একজন মানুষ এত পরিশ্রমী হয় তা আম্মুকে না দেখলে বিশ^াস করা সম্ভব না। আব্বু আমাদের পরিবারের স্তম্ভ। আমার ছোট ভাই মনন ও তার স্ত্রী মৌমিতার মতো আমার দু’জন ভালো বন্ধু আছে একই পরিবারে এটাও আমার জন্য আশীর্বাদ। আমার অনেক কিছুই নেই হয়তো কিন্তু আমার শিক্ষিত মা এবং শিক্ষিত একটি পরিবার আছে। তাই আমি বারবার জন্ম নিলে এই পরিবারেই জন্মাতে চাই। আমি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ।
বুবলী, চিত্রনায়িকা : মায়ের কথা বলতে গেলেই সবার আগে আমার নানুর কথা ভীষণ মনে পড়ে। বিশেষত রোজার মাস এলে নানুর কথা যেন একটু বেশিই মনেপড়ে। কারণ নানুর সাথে থেকে থেকেই আমি নামাজ পড়া শিখেছি, রোজা রাখতে শিখেছি। সেই নানু যখন আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন তখন আমার আম্মুকে দেখেছি তিনি কতটা কষ্ট পেয়েছেন। সত্যি বলতে কি মা এমন একজন মানুষ, প্রতিটি মানুষ তার মনের ভেতরে শ্রদ্ধার স্থানে রেখে দেন। আমার আজকের অবস্থানের পেছনে আম্মুরই অবদান সবচেয়ে বেশি।
লিজা : মা মেয়ের সম্পর্ক যেমন মধুরতর হয় তেমনই সম্পর্ক আমাদের দু’জনের। আমার লিজা নামটি আমার আব্বুর রাখা। আমার আম্মু আব্বু আমাকে নিয়ে গর্ব করেন সবসময়। এটা আমাকে পুলকিত করে। আমি সবসময়ই চেষ্টা করব আমার কারণে যেন কখনো তারা কষ্ট না পান। তাদের জন্যই আমার এই পৃথিবীতে আসা। তাই সারাটি জীবন তাদের জন্যই নিবেদিত হয়ে থাকতে চাই।
লুইপা : আমার আম্মু বুঝেছিলেন বিধায় আম্মু আমাকে গানের সাথে ছোটবেলায় সম্পৃক্ত করে ছিলেন। আম্মু বুঝতে পেরেছিলেন আমাকে দিয়ে গানটাই ভালোভাবে করিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। তাই আম্মুর শতভাগ চেষ্টায় আমি নিজেকে আজকের একজন সঙ্গীতশিল্পীতে পরিণত করতে পেরেছি। আমি মাকে জীবনে একবারই অনেক বড় কষ্ট দিয়েছি। বুঝতে পেরেছিলাম যে কষ্ট দিয়েছি। কিন্তু এটাও সত্যি পরে তা সবার জন্যই মঙ্গল হয়েছে। এখন আমরা পরিবারের সবাই বেশ ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আমার আম্মু পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ আম্মু।


আরো সংবাদ



premium cement