শর্মিলীতে মুগ্ধ সজল

শর্মিলী আহমেদ, এ দেশের সিনেমা এবং নাটকের একজন গুণী অভিনেত্রী। মা চরিত্রে বহু নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করে তিনি শিল্পীদের কাছে যেমন মা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, ঠিক এমনিভাবেই এ দেশের অনেক দর্শক শর্মিলী আহমেদের মাঝে তাদের হারিয়ে যাওয়া কিংবা পরপারে চলে যাওয়া মায়ের ছায়া খুঁজে বেড়ান। শর্মিলী আহমেদকে আগের চেয়ে বর্তমান সময়ে নাটকে অভিনয়ে কিছুটা কম দেখা যায়। এর প্রধান দু’টি কারণ হচ্ছে করোনার কারণে শর্মিলী আহমেদ নিজেই বেশ কিছুটা ভীত বলে কাজ করতে খুব বেশি আগ্রহী নন, দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে এই সময়ে শর্মিলী আহমেদের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের নিয়ে সাধারণত কাজ খুব কমই হয়ে থাকে। যে কারণে তার মতো গুণী শিল্পীদের এখন অভিনয়ে কম দেখা যায়। অথচ এমন কিংবদন্তি শিল্পীদের কাজ করার রয়েছে প্রবল আগ্রহ। নির্মাতা সুব্রত সঞ্জীব শর্মিলী আহমেদ ও সজলকে নিয়ে একটি বিশেষ নাটক নির্মাণ করেছেন। নাটকের নাম ‘অভিমানী’। নাটকটি রচনা করেছেন রাশিদুর রহমান। এরই মধ্যে রাজধানীর উত্তরার একটি শুটিং হাউজে নাটকটির দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। এতে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ। নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে শর্মিলী আহমেদ বলেন, ‘অভিমানী নাটকটির গল্প এবং এতে আমার চরিত্র খুব পছন্দ হয়েছে আমার। আমরা যে বয়সে এসে পৌঁছেছি এই বয়সটাকে গুরুত্ব দিয়ে চরিত্র ভাবা হয় খুব কম। কিন্তু এই নাটকের নাট্যকার যেমন ভেবেছেন ঠিক তেমনি পরিচালক সুব্রত সঞ্জীবও আমার চরিত্রটি নিয়ে যথেষ্ট ভেবেছেন। যে কারণে কাজটি করেও বেশ ভালো লেগেছে। আর এ নাটকে আমার সহশিল্পী হিসেবে ছিল সজল ও মৌসুমী। সজলের আমার সাথে এর আগেও অনেক নাটকে অভিনয় করেছে। খুব ভালো ছেলে সজল। তার আদব কায়দা, তার আন্তরিকতা সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করে। বিশেষ করে শুটিংস্পটে আলাদা কেয়ার করার বিষয়টিও মনে শান্তি দেয় যে আমাদের সেই সজল এখন কত পরিণত, অভিনয়ও করছে মন দিয়ে আবার সহশিল্পীদের প্রতি বিশেষত আমার মতো মুরব্বি যারা তাদের খেয়ালও রাখছে।’ সজল বলেন, ‘শর্মিলী মায়ের সাথে কাজ করতে সবসময়ই আমার ভীষণ ভালো লাগে। সত্যি বলতে কী, তারা তো আমাদের দেশের নাটকের, সিনেমার ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত থাকা গুণীজন। তাদের সাথে কাজ করতে পারাটাই আসলে সৌভাগ্যের। এই বয়সে এসেও শর্মিলী মা এখনো এত চমৎকার অভিনয় করেন তাতে সত্যিই বারবার মুগ্ধ হই। অভিমানী নাটকেও আমাদের দু’জনের বিশেষত তার অনবদ্য অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করবে।’ পরিচালক জানান, শিগগরিই নাটকটি একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে এবং পরবর্তীতে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে।