২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ছবির অনুদান বাতিলে আইনি নোটিশ

-

অনুদানের ছবি ‘হৃদিতা’ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এবার যোগ হলো আইনি নোটিশ। অনিয়ম, অনুদানের শর্ত ও নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘হৃদিতা’ ছবির অনুদান বাতিল এবং শুটিংসহ সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিতের জন্য চিঠি দিয়েছেন জাদুকাঠি মিডিয়ার কর্ণধার চিত্র প্রযোজক মো: মিজানুর রহমান। তার পক্ষে এটি তথ্যসচিব ও ‘হৃদিতা’র বর্তমান প্রযোজকসহ ৯ জনকে পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী।
২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হৃদিতা’। কিন্তু তার আগেই দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে প্রকাশ হয় একই উপন্যাস অবলম্বনে ‘ড্রিমগার্ল’ ছবির কাস্টিং, সাইনিং, মহরত ও শুটিং প্রস্তুতির খবর।
বিষয়টি নিয়ে তখন বিস্ময় প্রকাশ করেন উপন্যাসটির লেখক আনিসুর হক এবং ছবিটির প্রযোজক জাদুকাঠি মিডিয়ার কর্ণধার মো: মিজানুর রহমান!
প্রযোজকের অভিযোগ, ছবিটি নির্মাণের জন্য আনিসুল হকের কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া থেকে শুরু করে শিল্পীদের সাইনিং, মহরত অনুষ্ঠান আর শুটিংয়ের সব প্রস্তুতি নিয়েছেন গত বছরের মার্চ মাস থেকে। অথচ সম্প্রতি ছবিটি অন্য প্রযোজকের নামে সরকারি অনুদান পায়। যেটি সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
গত ২৫ জুন সরকারি অনুদানের গেজেট প্রকাশের পর দেখা যায় আনিসুল হকের ‘হৃদিতা’ উপন্যাস নিয়ে একই নামে ছবি নির্মাণের জন্য অনুদান দেয়া হয়েছে। যেখানে প্রযোজক হিসেবে এমএন ইস্পাহানী ও পরিচালক হিসেবে ইস্পাহানী আরিফ জাহানের নাম উল্লেখ রয়েছে।
এ জন্য ২৪ সেপ্টেম্বর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ই-মেইলে পাঠানো আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন মিজানুর রহমান। এতে তিনি একই সাথে ‘হৃদিতা’র জন্য ইতোমধ্যে ছাড়কৃত অনুদান ফেরত এবং অনুদানের মতো সরকারের একটি মহতী উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
নোটিশে বলা হয়, ‘হৃদিতা’ মূলত ‘সময়’ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত লেখক আনিসুল হকের একটি উপন্যাস। তিনি ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল, ৫০ হাজার টাকা সম্মানির বিনিময়ে প্রযোজক মিজানুর রহমানকে এককভাবে ‘হৃদিতা’ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের লিখিত অনুমতি দেন। ওই দিন মিজানুরের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘জাদুকাঠি মিডিয়া’র অফিসিয়াল প্যাডে আনিসুল হক স্বহস্তে লেখেন, ‘জাদুকাঠি মিডিয়াকে আমার উপন্যাস সময় প্রকাশনীর ‘হৃদিতা’ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুমতি প্রদান করা হলো।’ এরপর চলতি বছর একই উপন্যাস ব্যবহার করে অনুদান নিয়েছেন অন্য প্রযোজক (এমএন ইস্পাহানী)।
নোটিশের অনুলিপি চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির সভাপতি তথ্যমন্ত্রী, সহ-সভাপতি তথ্য-প্রতিমন্ত্রী, সদস্য এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অনুদানপ্রাপ্ত ছবি ‘হৃদিতা’র পরিচালক প্রযোজক এমএন ইস্পাহানী ও পরিচালক আরিফ জাহানকে পাঠানো হয়েছে।
গল্পের স্বত্ব নিয়ে ‘হৃদিতা’র লেখক আনিসুল বলেন, ‘আমি একবার একজন প্রযোজককেই অনুমতি দিয়েছি। দ্বিতীয়বার কাউকে অনুমতি দেইনি। শেষ পর্যন্ত যতটুকু জানি, ছবিটি অনুদান পেয়েছে, কিন্তু পরবর্তী সময়ে কে প্রযোজক হচ্ছেন সেটা আমার জানা নেই। বিষয়টি তারা বুঝবেন। আমার কাছে যদি আসে তাহলে আমি যাকে শুরুতে অনুমতি দিয়েছি সেই পাবে।’


আরো সংবাদ



premium cement