২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভিনয়েই মনোযোগ ফারিনের

-

অভিনয়ে অদম্য আগ্রহ, অধ্যবসায়, সময়সচেতনতা, বিনয় আর অভিনয় শেখার প্রবল আগ্রহ একজন অভিনয়শিল্পীকে যে দর্শকের ভালোলাগায় পরিণত করে এই প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী ফারিন তা প্রমাণ করেছেন। চমৎকার স্ক্রিপ্ট, সুন্দর চরিত্রে মেধার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে অভিনয় করলে দর্শক তা যে মন থেকে গ্রহণ করেন তা-ও প্রমাণ করেছেন ফারিন। যে কারণ নাটক বা টেলিফিল্ম নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাতাদের মধ্যকার দৃশ্যপট বদলে যাচ্ছে। সমসাময়িক অন্য অভিনেত্রীর চেয়ে নির্মাতারা ভীষণ আগ্রহী হচ্ছেন ফারিনের প্রতি। গত ঈদে ফারিন কয়েকটি নাটকে অসাধারণ অভিনয়ের কারণে যেমন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন, ঠিক তেমনি এবারের ঈদে যেন তাই হতে যাচ্ছে। মেধাবী নির্মাতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন ফারিন। কিন্তু ফারিন করোনার এই ভয়াবহতায় টানা শিডিউল যেমন দিচ্ছেন না, ঠিক তেমনি অনেক বেশি কাজও করছেন না। গল্প, চরিত্র ও নির্মাতা বুঝে শুনে একটু ধীরে ধীরেই নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তিনি। করোনার ভয়াবহতাকে পাশ কাটিয়ে অনেকের মতোই ফারিনও নাটকের কাজ শুরু করেছেন। ফারিন এরই মধ্যে ঈদ উপলক্ষে শেষ করেছেন সোহেল আরমানের ‘বিগ মিসটেক’, ইমরাউল রাফাতের ‘থ্রি নট থ্রি’ ও মাহমুদুর রহমান হিমির ‘ওল্ড টাউন লাভ’ নাটকের। আগামী ঈদের আগ পর্যন্ত তিনি মিজানুর রহমান আরিয়ান, কাজল আরেফিন অমি, তানভীর আহমেদের নাটকের কাজ করবেন। এ ছাড়াও মোস্তফা কামাল রাজেরসহ আরো এক-দু’জন নির্মাতার নাটকে অভিনয় করতে পারেন। করোনার এই ভয়াবহতার মধ্যেও শুটিংয়ে ফেরা প্রসঙ্গে ফারিন বলেন, ‘আমার আব্বু-আম্মু চাচ্ছিলেন না এই ভয়াবহতার মধ্যে শুটিং করি। কিন্তু তাদের আমি কথা দিয়েছি, প্রত্যেকটি নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে এক-দু’দিন গ্যাপ দেবো। যাতে অসুস্থ না হয়ে ফিরি। বিগত তিন মাসেরও বেশি সময় বাসায় বসে থাকার কারণে শুটিংয়ের জন্য শরীরটা ফিট করতেও একটু সময় লাগবে। তবে এটা সত্যি শুটিংয়ে যাওয়ার সময় পথের অবস্থা দেখে মনে হয় না করোনার এই ভয়াবহতা বিরাজ করছে। অথচ কী ভয়াবহতার মধ্যেই আছি আমরা। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে যার যার মতো। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শুটিং করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফারিন যে খুব ভালো গানও গাইতে পারেন তা লকডাউনে সবার জানা হয়ে গেছে। ছোটবেলায় তিনি প্রয়াত খালিদ হোসেন, ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খান, মইনুল ইসলাম খান, করিম শাহাবুদ্দিনের কাছে তালিম নিয়েছেন। পরবর্তীতে নজরুল একাডেমি থেকে উচ্চাঙ্গ ও নজরুল সঙ্গীতে চার বছরের সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করেছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তাকে দিয়ে গান গাওয়ানোর জন্য যোগাযোগও করেছে। কিন্তু আপাতত ফারিন অভিনয়েই মনোযোগ দিতে চাচ্ছেন। যেহেতু গানে চর্চাটা বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত নেই। তাই আগামী কিছুদিন গানে নিয়মিত চর্চা চালিয়ে কণ্ঠটাকে আরো একটু ধারালো করতে চাচ্ছেন, তারপর তিনি তার গান প্রকাশ নিয়ে ভাববেন। ফারিন লকডাউনের মধ্যেই সরকারি বিশ^বিদ্যালয় ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement