২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভিনয়ে চার দশক পেরিয়ে মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

-

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের বরেণ্য অভিনেতা মানস বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয় জীবনের চার দশকেরও বেশি সময় অতিক্রম করছেন। দীর্ঘ এই চার দশকেরও বেশি সময়কালে তিনি অনেক দর্শকপ্রিয় টিভি নাটক, মঞ্চ নাটক, সিনেমা এবং বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। ফরিদপুরের ঝিলটুলির ননী বন্দ্যোপাধ্যায় ও সান্ত¡না বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্তান মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ফরিদপুরের ‘সুনিয়ম নাট্যচক্র’র সাথে সম্পৃক্ত থেকে অভিনয় জীবনে পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে প্রথম তিনি বিপ্লব বালার নির্দেশনায় ‘সাজানো বাগান’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। প্রায় চার-পাঁচ বছর এই দলের হয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। পরবর্তীতে ঢাকায় এসে প্রথম খ ম হারুনের প্রযোজনায় ‘সানাই নয়’ নাটকে অভিনয় করেন যাতে তার বিপরীতে ছিলেন তারানা হালিম। নাটকে তাকে দেখে অনেকে ভেবেছিলেন তিনি কুমার বিশ^জিৎ। পরবর্তীতে আল মনসুরের প্রযোজনায় ‘লাইলী মজনু’ নাটকে অভিনয় করে সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। এতে মজনু চরিত্রে মানস এবং লাইলী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত দিতি। এই নাটকের জনপ্রিয়তার রেশ ধরেই পরিচালক ইবনে মিজান মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন ‘পুনর্মিলন’ সিনেমাটি। এতে তার বিপরীতে ছিলেন নতুন। নাটকে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় আরো সাড়া ফেলেছিলেন জিয়া আনসারীর প্রযোজনায় ‘প্রতিশ্রুতি’, বরকত উল্লাহর প্রযোজনায় ‘ঢাকায় থাকি’, শেখ রিয়াজ উদ্দিন বাদশার প্রযোজনায় ‘টঙ ঘর’সহ আরো বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করে। নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘সাহেব’, খান আতাউর রহমানের ‘হিসাব-নিকাশ’ দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘ভাইয়ের আদর’, মতিন রহমানের ‘মন মানে না’ সিনেমা’সহ আরো বেশ কিছু সিনেমাতে অভিনয় করেও প্রশংসিত হন তিনি। অভিনয় জীবনের শুরুতে ‘আনোয়ার শার্টিং স্যুটিং’ ও ‘রবিন ব্লু’র বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেও বেশ আলোচনায় এসেছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement