২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভাওয়াইয়া গানের পথিকৃতের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

-

সম্প্রতি সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হলো আব্বাসউদ্দীন সঙ্গীত একাডেমির ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং উপমহাদেশের ভাওয়াইয়া গানের পথিকৃৎ মরমী শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমেদের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়। আব্বাসউদ্দীনের মেয়ে বিশিষ্ট সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব ও আব্বাসউদ্দীন সঙ্গীত একাডেমির প্রিন্সিপাল ফেরদৌসী রহমানের উদ্যোগে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বুধবার বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লোক গবেষক, লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব , কণ্ঠশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী। তিনিই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরেণ্য লোকশিল্পী ও ঢাকা মিউজিক কলেজের অধ্যাপক ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ও সাংবাদিক সাদিয়া আফরিন মল্লিক ও বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী লেখক, অধ্যাপক ড. নাশিদ কামাল। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেরদৌসী রহমান। তিনি বলেন, ‘আজ ভীষণভাবে মনে পড়ছে এই সঙ্গীত একাডেমির শুরুর দিকের কথা। এই সঙ্গীত একাডেমির প্রথম মোমবাতি জ¦ালানোর অর্থ আমার স্বামী রেজাউর রহমানই দিয়েছিলেন। তারপর থেকে এই একাডেমির অর্থায়নেই একাডেমি পরিচালিত হয়েছে। কষ্টের বিষয় হচ্ছে এই তিন দশকে বিভিন্ন দল ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু আব্বাসউদ্দীন একাডেমির জন্য একটি নির্ধারিত স্থান করে দিতে কোনো সরকার এগিয়ে আসেনি। আমি কাউকে কিছু বলতে পারি না যেÑ এটা করে দাও , ওটা করে দাও। আমি জানি না আমার অনুপস্থিতিতে এই একাডেমির কী হবে। তাই আমি নাশিদ কামালকে অনুরোধ করছি এখনই হাল ধরার জন্য। আমার বাবা আব্বাসউদ্দীন বেঁচে থাকবেন আগামী প্রজন্মের মধ্যে তাদের গানে গানে। আমি যে এই প্রজন্মের শিশুদের মধ্যে গানের বিষয়টা ফুটাতে পারছি, এটাই অনেক কিছু।’ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুস্তাফা জামান আব্বাসী বলেন, ‘আপনারা সবাই কষ্ট করে এমন একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন তাতেই আন্তরিকভাবে মুগ্ধ।

 


আরো সংবাদ



premium cement