২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বগুড়া ও যশোরে উপনির্বাচনের তারিখ পেছাবে না ইসি

- সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদের বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপ-নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই। তাই বিএনপি’র এই দাবি রক্ষা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে ভোট না করলে রাষ্ট্রের যে কোনো ব্যক্তি সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে মামলা করতে পারে। আর সংবিধান লঙ্ঘনের শাস্তি খুব মারাত্মক। মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। কাজেই এ দায়িত্ব আইন মন্ত্রণালয়ও নেবে না, কমিশনও নেবে না, কেউ নেবে না।

আগারগাওস্থ নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের একথা বলেন ইসি সচিব। এর আগে বিএনপির দুইজন প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই উপ-নির্বাচন করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে অগ্রহণযোগ্য দাবি করে পেছানের কথা বলেন।

পরে প্রতিনিধি দলের প্রধান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন না পেছালে ব্যালট পেপারে আমাদের প্রার্থীর প্রতীক না রাখারও জন্যও ইসি সচিবকে বলেছি। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে কি-না জানি না।

ইসি সচিব বলেন, বিএনপি তাদের আবেদনে নির্বাচন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু তারা একথা খুব ভালো করেই জানেন, যে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ, এখন নির্বাচন পেছালে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, কোনো আসন শূন্য হলে তার পরবর্তীতে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। দৈবদুর্বিপাকের কারণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আরো ৯০ দিন সময় নিতে পারে। সেই সময়ও পার হয়ে গেলে সুপ্রীম কোর্ট থেকে ব্যাখ্যা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আসন দু’টির মেয়াদ শেষ হবে যথাক্রমে ১৫ জুলাই ও ১৮ জুলাই। কোনো পক্ষ যাতে আঙুল তুলতে না পারে, সেজন্য কমিশন সুপ্রীম কোর্টের কাছে যেতে চেয়েছিল। এজন্য আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতও নেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে কথা বলে তারা জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। আর সুপ্রীম কোর্টে গেলে শুনানি হবে, এছাড়াও অন্যান্য প্রক্রিয়ার জন্য সে সময়ের প্রয়োজন সেটাও হাতে নেই। তাই আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী কমিশন ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্যালট পেপারে বিএনপির প্রার্থীর প্রতীক না রাখার দাবি প্রসঙ্গে সচিব বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। এই সময়ের পর আইনগতভাবে প্রার্থৗতা প্রত্যাহার বা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবার কোনো সুযোগ নেই। কোনো বৈধ প্রার্থী যদি প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে নির্বাচন বর্জন করেন, তবুও তার নামে প্রতীক ব্যালট পেপারে ছাপা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement