২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক

করোনা শঙ্কার মাঝেই নির্বাচন করতে হবে : সিইসি

- সংগৃহীত

করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা অত্যন্ত শঙ্কিত। আমাদের আশঙ্কা আছে, দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত আছি। তারপরও এই নির্বাচন আমরা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারব না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে সব ঠিক হয়ে যাবে হয়তো। আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন পেছাতে চাচ্ছি না। এর মধ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে। তবে যারা নির্বাচনে কাজ করবেন তাদের সতর্ক অবস্থায় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা যদি না মেনে চলা হয় তা হলে নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।

রাজধানীর আগারগাঁওর নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বৈঠক শেষে সিইসি এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব মো: আলমগীর এবং ডিএমপির কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। সিইসি নূরুল হুদা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন, পাঁচ আসনের উপনির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা কাজে জনসভা, পথসভা পরিহার করে বিকল্প প্রচার-প্রচারণার মাধ্যম বেছে নেয়ার অনুরোধ জানান।

সব ধরনের জনসমাগম না করার নির্দেশনার বিষয়টি সাংবাদিকরা সামনে আনলে সিইসি বলেন, আমরা এখনই বিষয়টি চেকআপ করব। মেসেজটা যেন পৌঁছে দিতে পারে, সে জন্য ব্যবস্থা নেবো, আমাদের যত নির্বাচন আছে। প্রার্থীরা যেন সীমিত আকারে অন্য ডিভাইসে প্রচার করে, যেন জনসভা, পথসভা পরিহার করে সে অনুরোধ করব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন বন্ধ করিনি এখনো। যতক্ষণ বন্ধ করিনি, ততক্ষণ হবে। তাই আমরা নির্বাচনটা পেছাতে চাচ্ছি না। নির্বাচনের সময় এজেন্টরা যদি কেন্দ্রে যায়, তার নিরাপত্তা দায়িত্ব গ্রহণ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা অনেক সময় দেখি যে এজেন্টকে যেতে দেয়া হয়নি বলা হয়। কিন্তু আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, তারা যায়নি। তাই যারা প্রার্থী তাদের অনুরোধ করব- সক্ষম ও দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন এজেন্ট নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেন, তারা যেন ফাঁকি না দেন। তারা যেন ভোটকেন্দ্রে যান। এজেন্ট কেন্দ্রে না গেলে তাদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সিইসি বলেন, নির্বাচনে এজেন্ট একটা নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি। কোনো অনিয়ম হলে প্রতিবাদ করবেন, আমাদের বলবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এজেন্টদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উল্লেখ্য, আগামী ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত ঢাকা-১০, গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনের উপনির্বাচন।


আরো সংবাদ



premium cement