ইসির সাথে বৈঠকে বিএনপির ২১ দফা দাবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৫০
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণের তীব্র বিরোধিতা করেছে বাংলদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সহ কমিশনের সাথে বৈঠকে তারা বলেছেন, ইভিএম দিয়ে আপনি কী ভোট দিয়েছেন, তা ভেরিফিকেশন বা যাচাই করার কোনো সুযোগ নেই। এটি নিঃশব্দে ভোট চুরির একটি প্রক্রিয়া বলে জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দেয়া ২১ দফা দাবিও বৈঠকে পেশ করা হয়।
আগারগাওস্থ নির্বাচন ভবনে সিইসি কেএম নূরুল হুদাসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির সচিব, দুই রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ইসি কর্মকর্তাদের সাথে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দুই মেয়র প্রার্থীসহ ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন। এ সময় বিএনপির উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকারও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শেষে ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা চুরি হয়েছে। কেউ ব্যাংক ভেঙে ভেতরে ঢোকেনি, কেউ ভল্ট ভাঙতে যায়নি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিঃশব্দে টাকাটা চুরি হয়ে গেছে। এমন না যে ব্যাংকে পাহারাদার ছিল না। সবই ছিল। কিন্তু তবুও মাঝখান থেকে টাকাটা নাই হয়ে গেছে।
ইভিএম ব্যবহার করেও একইভাবে ভোটচুরির সুযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সব ঠিক থাকবে, পরিবেশ শান্ত থাকবে। কিন্তু ফলাফল সেটাই হবে, যেটা তারা (সরকার) চাইবে। ব্যালট বাক্স ভরতে তো কষ্ট করতে হয়। ইভিএমে ভোট চুরি করতে সেই কষ্টও করতে হবে না। সরকার যেমন ফল চাইবে, সেভাবে প্রোগ্রামিং করা থাকবে ইভিএম। তারপর আপনি যাকেই ভোট দেন না কেন, ফল আসবে সেই প্রোগ্রামিং অনুযায়ী। তিনি বলেন, সরকার চায় জনগণকে ভোটাধিকারের বাইরে রেখে সবকিছু দখলে রাখা। ইভিএম দিয়ে সেটাই করা হবে।
গ্রেফতার প্রসঙ্গে ইসি কোনো আশ্বাস দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের অভিযান, ভয়ভীতি সৃষ্টি, এজেন্টদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন বড় সমস্যা, তাদের বিরত রাখতে আশ্বাস দিয়েছে কমিশন। তারা বলেছেন, এগুলো হবে না। নেতাকর্মীদের যে গ্রেফতার করা হয় তারা আশ্বাস দিয়েছেন অপরাধ দৃশ্যমান না হলে বা মার্ডার না হলে গ্রেফতার বন্ধ থাকবে।
এদিকে, সিইসিকে দেয়া দলের মহাসচিব স্বাক্ষরিত চিঠিতে ২১ দফা দাবিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী যে কোনো প্রার্থীকে নতুন, পুরাতন, ফৌজদারী বা যে কোনো মামলায় নির্বাচনকালীন সময়কালের মধ্যে গ্রেফতার থেকে বিরত থাকতে হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর ইতোমধ্যেই গ্রেফতারকৃত প্রার্তীদের জরুরি ভিত্তিতে জামিন দেয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন বা রিটার্নিং অফিসারের বিনা অনুমতিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান স্থগিত রাখতে হবে। নির্বাচনে কোনো আধ-সরকারি বা বেসরকারি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিয়োগ করা যাবে না। নির্বাচনী কেন্দ্রের ৫শ’ মিটারের মধ্যে কোনো নির্বাচনী ক্যাম্প রাখা যাবে না। নির্বাচনের দিন কেন্দ্র থেকে ৫শ’ মিটার এলাকা সশস্ত্র বাহিনীর আওতাধীন বলে ঘোষণা করতে হবে ইত্যাদি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা