২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সন্তানরা ব্যর্থ হওয়ায় স্বপ্ন পূরণে ঢাবিতে ভর্তি হতে চান বেলায়েত

বেলায়েত হোসেন - ছবি - সংগৃহীত

বয়সের বাঁধা পেরিয়ে আর মানুষের টীকাটিপ্পনী এড়িয়ে শিক্ষা জীবনে এগিয়ে যাচ্ছেন অদম্য বেলায়েত হোসেন। এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে ৫৫ বছর বয়সে তিনি এখন ভর্তি হতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে লেখাপড়া করে স্থানীয় পর্যায়ের সাংবাদিকতা থেকে নিজেকে আরো মেলে ধরতে চান।

চলতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন তিনি।

আগামী ২৯ জুন ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে অংশ নিতে তিনি রীতিমতো ভর্তির কোচিং ক্লাস করছেন।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার বেলায়েত হোসেন এসএসসি পরীক্ষার জন্য প্রথমবার প্রস্তুতি নেন ১৯৮৩ সালে। অর্থাভাবে সেইবার প্রস্তুতি নিয়েও ফরম ফিলাপ করতে পারেননি। পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এরপর ১৯৮৮ সালে তিনি আবারো এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সে বছর সারাদেশে বন্যার কারণে তার পরীক্ষা দেয়া হয়নি। এরপর তিনি ফটোগ্রাফার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি সংবাদপত্রের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে দৈনিক করতোয়া পত্রিকার গাজীপুরের শ্রীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

দুই ছেলে এক মেয়ের বাবা বেলায়েত কর্মজীবন শুরু করেও লেখাপড়ায় হাল ছাড়েননি। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়ায় তেমন একটা এগিয়ে যেতে আগ্রহী নন। ছেলে-মেয়েরা তার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হলে নিজেকে নিয়েই আবার শিক্ষা জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনি। অবশেষে নিজেই আবার লেখাপড়া শুরু করেন। এরপর ২০১৯ সালে একটি মাদরাসা থেকে এসএসসি এবং ২০২১ সালে কারিগরি বোর্ড থেকে তিনি এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

যে বছরে তিনি এইচএসসি পাশ করেছেন একই বছর তার ছোট ছেলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তার ইচ্ছে শিক্ষাজীবনে আরো বহুদূর এগিয়ে যাওয়া। লেখাপড়া করে এই দুটি ধাপ পেরোনোর পথ তার কাছে খুব একটা মসৃণ ছিল না।

তিনি জানান, লেখাপড়ার এই পথে তার নিজের আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামের লোকজন বিষয়টিকে ভালো চোখে নেয়নি। উপহাস তিরস্কার প্রায়ই জুটতো তার কপালে। তবুও থেমে যাননি। পিছুটান দেননি। মায়ের দোয়া নিয়ে সামনের পথে গিয়েছেন তিনি।

শিক্ষাক্ষেত্রেও সহপাঠীরা তাকে আংকেল বলে সম্বোধন করতো। আর তিনি সহপাঠী তরুণ-তরুণীদের আম্মু আর আব্বু বলে ডাকতেন। এভাবেই শিক্ষাঙ্গনে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন সবার সঙ্গে।

অদম্য বেলায়েতের এখন ইচ্ছা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়বেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে কারো কারো কাছে পরামর্শ চাইতে গিয়েও টীকাটিপ্পনী-মুচকি হাসির মুখে পড়েছেন তিনি। অবশেষে তিনি স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে গিয়ে ওই সেন্টারের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তির আবেদন করেন। শুরু করেন ভর্তির জন্য লেখাপড়া। তার ইচ্ছা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়ে জীবনকে নতুন পথে নিয়ে যাবেন। তার সংসারের সবাই আশা করছেন, লেখাপড়ায় বেলায়েত নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল