১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আলোচনায় বসতে শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ

আলোচনায় বসতে শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ - ছবি : নয়া দিগন্ত

নিজেদের দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাথে আলোচনায় বসতে চান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এজন্য শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা। এ সময় ভিসি’র পদত্যাগসহ দাবিগুলো দ্রুত মেনে নেয়ারও আহ্বান জানান।

শুক্রবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিং করে শিক্ষামন্ত্রীকে এ আমন্ত্রণ জানান আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কার্যক্রম চালিয়ে রেখেছি। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রোড পেইন্টিং কর্মসূচি হবে। আমরা আমাদের আন্দোলনের ভাষা পরিবর্তন করেছি। তবে দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন মোহাইমিনুল বাশার রাজ। তিনি বলেন, পুলিশী হামলার ঘটনায় আহত এবং অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সকল ব্যয় প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে রাগিব রাবেয়া হাসপাতালের বিলও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হয়েছে। পুলিশের স্পিন্টারে আহত সজল কুন্ডকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, সরকারের নির্দেশনায় শিক্ষামন্ত্রী আমাদের মূল দাবিসহ অন্যান্য দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী তার প্রেস ব্রিফিংয়ে আমাদের দাবি ও বিভিন্ন সমস্যা প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য শাবিপ্রবিতে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরাও নিজেদের আমাদের দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তার সাথে আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা তার সামনে উপস্থাপনের জন্য বেশকিছু সমস্যা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে।

রাজ আরো বলেন, আমরা আশা করবো শিক্ষামন্ত্রী দ্রুত শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে এসে আমাদের সাথে আলোচনায় অংশ নিবেন। একই সাথে আমরা এও আশা করছি যে, এরই মধ্যে আমাদের মূল দাবিসহ অন্যান্য ব্যাপারে যে সমস্ত আশ্বাস দেয়া হয়েছে সেগুলোও অতিসত্বর পূরণ করা হবে।

ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও পুণর্ব্যক্ত করেন রাজ। তিনি বলেন, আজ (শুক্রবার) রাতেও আমরা ক্যাম্পাসে মুক্ত আলোচনা করবো। মুক্ত আলোচনার প্রস্তাবনাগুলো শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ভিসিকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন থেকেই ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে ১৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের টানা ১৬৩ ঘণ্টা অনশনের পর গত বুধবার ভাঙান শাবিপ্রবির সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।


আরো সংবাদ



premium cement