২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শাবিতে হামলার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের অবস্থান কর্মসূচি

আন্দোলনরত শাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের অবস্থান কর্মসূচি - ছবি : নয়া দিগন্ত

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সমর্থনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অবস্থান কর্মসূচিতে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, বর্তমানে যেকোনো ঘটনা ঘটলে আমরা সেটিকে ষড়যন্ত্র ও তৃতীয় পক্ষ বলে চালিয়ে দিই। শিক্ষার্থীরা যে দাবি নিয়ে সেখানে গিয়েছিল তার সুন্দর একটি সমাধান হয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সেটি না হয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হলো।

তিনি বলেন, যারা অন্যায় আচরণ করেছে তারা যদি পার পেয়ে যায় তাহলে অন্যায় আচরণ করার একটি শক্তি নতুন করে জেগে উঠবে। এটা শুধু শাবিপ্রবির ঘটনা নয়, এটি দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা। আমাদের শিক্ষার্থীরা কি মানুষের মতো অধিকার নিয়ে বাঁচবে, তারা কি কথা বলতে পারবে, তারা কি তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা করতে পারবে? এসব প্রশ্নের উত্তর আজকের চলমান ঘটনার ফয়সালার ওপর নির্ভর করছে।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, আমাদের লজ্জা লাগে, আমরা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পার করেছি। এমন সময়ে এসেও শিক্ষার্থীরা শোষিত, লাঞ্ছিত এবং হামলার শিকার হচ্ছে। শাবিপ্রবিতে অহিংস ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো হলো, মারপিট করা হলো। ছাত্ররা সেখানে গিয়েছিল প্রভোস্টকে পদত্যাগ করানোর জন্য। কিন্তু সেটি এখন ভিসি পদত্যাগ আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছে। কেনো আন্দোলনে এই রূপান্তরিত ঘটলো সেই প্রশ্নটি জানা খুবই দরকার।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন করছে। যে কোনো মুহূর্তে একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আমরা সেই বিষয়গুলো খেয়াল করছি না। আমরা শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য আন্দোলনের মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজছি, তৃতীয় পক্ষ খুঁজছি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আল মামুন বলেন, শাবি ভিসির পদত্যাগই এই আন্দোলন থামানোর একটা নির্বিকল্প পথ হয়ে আছে। এছাড়া এই আন্দোলন থামানো যাবে না। এটা সরকারের ও প্রশাসনের ব্যর্থতা। শিক্ষার্থীদের অনশন ১৪০ ঘণ্টা পার হলেও শিক্ষার্থীদের খোঁজ না নিয়ে তৃতীয় পক্ষকে খোঁজা হচ্ছে। কে ইন্ধন দিচ্ছে, কোথা থেকে টাকা আসছে সেটার একটা ফানি গেইম খোঁজার চেষ্টা করছে সরকার।

অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন।

এ সময় রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সঞ্চালনায় রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক রিদম শাহরিয়ার, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলন, ছাত্র অধিকার পরিষদের আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।


আরো সংবাদ



premium cement