শাবি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে ছাত্রদলের প্রতীকী অনশন
- ঢাবি প্রতিবেদক
- ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৪৮, আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১০:৫৫
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ, ভিসির অপসারণ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছে ছাত্রদল।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের আয়োজনে কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে প্রতীকী অনশন কর্মসূচিটি পালিত হচ্ছে।
অনশনে ফজলুর রহমান খোকন বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে তাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা প্রতীকী অনশনে বসেছি। তাদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই অমানবিক ভিসির পদত্যাগ দাবি করছি আমরা। আমাদের আজকের এই অনশন কর্মসূচি বিকেল তিনটা পর্যন্ত চলমান থাকবে এবং যতদিন পর্যন্ত ভিসি পদত্যাগ না করবে ততদিন আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চলবে।
কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির নির্দেশে বর্তমান সরকারের পেটোয়া বাহিনী পুলিশলীগ ও ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা হামলায় আহতদের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি এবং বর্তমান যে অবৈধ ও অমানবিক ভিসি, অভিভাবক সুলভ আচরণ না করে যে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তার বিচার ও অপসারণের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনশনে সংহতি জানাচ্ছি।
ঢাবি শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে শাবিপ্রবিতে অনশনরত
শিক্ষার্থীদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা
মামলা প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে ভিসি ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবি জানাচ্ছি।
একইসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাদের নামে বিভিন্ন সময় যেসব
মামলা দেয়া হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
প্রতীকী অনশনে উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক তৈমুর রহমান সাগর, ঢাবি শাখার সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমানসহ কেন্দ্রীয়, ঢাবি শাখা, ঢাবির বিভিন্ন হল শাখা ও অন্যান্য ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর ও অন্যান্য ইউনিটের প্রায় চার শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।