২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শাবি ভিসির পদত্যাগ দাবিতে অনশনে অনড় শিক্ষার্থীরা

ভিসির পদত্যাগ দাবিতে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনশন করছেন শাবি শিক্ষার্থীরা - ছবি - সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনে অনড় রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। বুধবার সারারাত তীব্র শীতের মধ্যেও ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান করেন তারা। এ সময় সম্মানিত শিক্ষকগণ এসে তাদের আশ্বস্ত করতে চাইলেও অনশন ত্যাগ করেননি ওই শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বেলা প্রায় ৩টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন এই শিক্ষার্থীরা। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার এ পর্যন্ত গত ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তারা অনশন করে যাচ্ছেন। তাদের সমর্থন ও সাহস জোগাতে আছেন আরো অনেক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন অব্যাহত রাখবেন তারা। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে অনশনের অবস্থানের পাশে অ্যাম্বুলেন্স এনে রাখা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে নিতে অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তার বাসভবনে অবস্থান করছেন। ভিসির বাসভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

বুধবার রাতে অনশনস্থলে শতাধিক শিক্ষক এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসির পদত্যাগের সাথে একমত হলেই শিক্ষকদের কথা শুনবেন তারা।

শিক্ষকবৃন্দ কথা বলার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা কথা না শোনার জন্য বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় হ্যান্ডমাইকে শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের অনেকবার বুঝানোর চেষ্টা করেন।

বুধবার রাত পৌনে ৯টায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলশি কুমার দাশের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদের ডিন, বিভাগের প্রধানসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষক ভিসির বাস ভবনের সামনে এসে আন্দোলনকারীদের বুঝানোর চেষ্টা করেন।

শিক্ষকবৃন্দ ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষক, ভিসি স্বৈরাচারী আচরণ করতে পারবে না। হামলার বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত থাকলে ভিসিকেও চলে যেতে হবে।’ এ সময় মামলায় শিক্ষার্থীদের কিছু হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তারা।

এছাড়া অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করেন এবং শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এক সাথে খাবার আয়োজনের প্রস্তাব করেন। কিন্তু শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রস্তাবে শিক্ষার্থীরা সাড়া না দেয়ায় রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষকবৃন্দ আন্দোলনস্থল ত্যাগ করেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার বেলা ৩টা থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থী অনশনে বসেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে অনশনস্থলে তাদের সাথে আরো শতাধিক শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement