২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

হল খোলার দাবিতে ইবি ভিসির বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ইসলামী বিশ্ববদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ সময় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনার কারণে অনেকদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছে প্রশাসন। কিন্তু আবাসিক হল বন্ধ রাখার কারণে মেসে থাকতে হচ্ছে আমাদের। ক্যাম্পাসের পাশের মেসগুলোতে পর্যাপ্ত সিট না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছি আমরা। এক সিটে দু’জন করে থাকতে হচ্ছে। মেসের ভাড়া দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত। এ ছাড়া নতুন করে যেসব বিভাগের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে তারা মেসে কোনো সিটই পাচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কয়েকবার হল খোলার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ মিয়া বলেন, বিভাগে পরীক্ষার রুটিন দেয়ায় আমি ক্যাম্পাসে এসেছি। কিন্তু ক্যাম্পাসের কাছাকাছি এলাকায় কোনো মেসে সিট পাচ্ছি না। এখন আমি কোথায় থাকবো? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের অভিভাবক। কিন্তু আমাদের নিয়ে তাদের কোনো চিন্তাভাবনা নেই।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের কাছে এসে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ দিকে শিক্ষার্থীলা ভিসির ভবনের সামনে এক ঘণ্টা অবস্থানের পর প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রক্টর বলেন, আগামী ৪ অক্টোবর হল খোলার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং আছে। সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি শিক্ষার্থীদের ৪ অক্টোবরের মিটিং পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করতে বলেন। ওই মিটিংয়ে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত না হলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সাথে থাকার আশ্বাসও দেন প্রক্টর।

পরে শিক্ষার্থীরা ৮ অক্টোবরের মধ্যে হল খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। কিন্তু ৮ অক্টোবরের মধ্যে হল খুলে দেয়া না হলে আবারো আন্দলন ও তালা ভেঙে হলে প্রবেশের হুশিয়ারি দেন তারা।

এ বিষয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা ভেবেই আগামী ৪ অক্টোবর একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব হলগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেব।


আরো সংবাদ



premium cement