২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এমপিওভুক্তি নীতিমালার ধোঁয়াশায় শিক্ষকরা বিভ্রান্ত

এমপিওভুক্তি নীতিমালার ধোঁয়াশায় শিক্ষকরা বিভ্রান্ত - ছবি : নয়া দিগন্ত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের নতুন নীতিমালায় কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতায় শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নতুন এই নীতিমালায় বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি সহজ করা হলেও কলেজ পর্যায়ে কঠিন করা হয়েছে বলে মনে করছেন ননএমপিও শিক্ষকরা। ধারণা করা হয়েছিল নীতিমালা প্রকাশের পর অস্পষ্টতার বিষয়ে হয়তোবা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হবে। কিন্তু গত ২৯ মার্চ নীতিমালা প্রকাশ করা হলেও বেশ কিছু অস্পষ্টতার বিষয়ে এখনো কোনো ব্যাখ্যা ও বিবৃতি দেয়নি মন্ত্রণালয়।

সূত্র মতে, নতুন প্রকাশিত এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, ডিগ্রিতে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ৩৫ জন করে ১০৫ জন এবং বিজ্ঞানে ২৫ জন করে ৭৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। পরীক্ষার্থী থাকতে হবে অন্তত ৫০ জন। কিন্তু কোন বিভাগে কত জন পরীক্ষার্থী থাকতে হবে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই নীতিমালায়।

অন্য দিকে এমপিও নীতিমালায় বলা হয়েছে, ডিগ্রিতে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ৩৫ জন করে ১০৫ জন এবং বিজ্ঞানে ২৫ জন করে ৭৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। পরীক্ষার্থী থাকতে হবে ৫০ জন। কিন্তু এখানেও কোনো বিভাগে কত জন পরীক্ষার্থী থাকতে হবে তারও কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। আবার কোনো কলেজে যদি একটি অথবা দুটো বিভাগ থাকে সে ক্ষেত্রে কতজন পরীক্ষার্থী থাকতে হবে সেটির কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। তাই এসব বিষয়ে সঠিক তথ্য ও ব্যাখ্যা চান কলেজশিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ।

এসব বিষয়ে গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব ও নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রধান মো: কামরুল হাসান নয়া দিগন্তের এই প্রতিবেদককে জানান, নতুন এমপিও নীতিমালায় ডিগ্রিতে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে ৩৫ জন করে ১০৫ জন এবং বিজ্ঞানে ২৫ জন করে ৭৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। পরীক্ষার্থী থাকতে হবে ৫০ জন। এটা তো স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে। এখানে বিভাগ অনুযায়ী শিক্ষার্থীর সংখ্যা নির্দিষ্ট করেই বলা হয়েছে। আর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট করা হয়নি। এখানে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বলে দেয়া হয়েছে মোট ৫০ জন। অর্থাৎ তিন বিভাগ মিলে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ হলেই হবে।
অন্য একটি সূত্র জানায়, নতুন নীতিমালায় উচ্চমাধ্যমিকে জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ পর্যায়ে এর ওপর আর কোনো পদোন্নতি নেই। এর আগের নীতিমালা দুটো করা হয়েছিল ২০১৮ ও ২০১২ সালে। কয়েক বছর ধরে শিক্ষকরা এমপিও নীতিমালা আরো সহজ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের মূল দাবি ছিল, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত (সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত) করতে হবে, কিন্তু তাদের সেই দাবির প্রতিফলন নতুন নীতিমালায় দেখা যায়নি বলে কোনো কোনো শিক্ষক মনে করছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি পেতে নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ জন শিক্ষার্থী, মাধ্যমিকে শহরে ৩০০ ও মফস্বলে ২০০, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪৫০ ও মফস্বলে ৩২০, উচ্চমাধ্যমিক কলেজে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ এবং ডিগ্রি (স্নাতক পাস) কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২০০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। আর পাসের হার হতে হবে ৭০ শতাংশ।

তবে ২০২১ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি পেতে নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ ও মফস্বলে ৯০, মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪২০ ও মফস্বলে ৩২০, উচ্চমাধ্যমিক কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২২০ এবং ডিগ্রি কলেজে স্নাতকে শহরে ৪৯০ ও মফস্বলে ৪২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। পাসের হার স্তরভেদে সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন এমপিও পেতে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ এবং পাসের হারে ৪০ নম্বর রাখা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ চকরিয়ায় যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৭ উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি বাগাতিপাড়ায় ইসতিসকার নামাজ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন : বাকৃবি অধ্যাপক বৃষ্টির জন্য হাকাকার, সাভারে ইসতিসকার নামাজ আদায় বরিশালে সালাতুল ইসতিসকার আদায় অর্ধ শতাব্দীতে ভ্যাকসিন সাড়ে ১৫ কোটি লোকের জীবন বাঁচিয়েছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আল্লাহর রহমত কামনায় সকলকে সিজদাহ অবনত হতে হবে-মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন কাউখালীতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা

সকল