২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৬ দাবিতে সোচ্চার অর্গানাইজেশন ফর দ্যা ডিজেবল অ্যান্ড অটিস্টিক রাইটস

৬ দাবিতে সোচ্চার অর্গানাইজেশন ফর দ্যা ডিজেবল অ্যান্ড অটিস্টিক রাইটস - ছবি সংগৃহীত

সারাদেশের ৬৪টি জেলায় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিদ্যালয় তথা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে অর্গানাইজেশন ফর দ্য ডিজেবল অ্যান্ড অটিস্টিক রাইটস্ (ওদের)। সময়ের ধারাবাহিকতায় ওই সংগঠনটি তাদের কিছু ন্যায্য দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি।

ওই মানববন্ধনে যোগ দিয়ে নিজেদের নানা অভাব-অভিযোগের কথা জানান সংগঠনটির সারাদেশের শিক্ষকরা। তারা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আবেদনকৃত প্রায় এক হাজার ৫২৫টি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি এমপিওসহ ছয় দফা পূরণের দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপিও প্রদান করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। উক্ত মানববন্ধনে এক হাজার ৫২৫টি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী স্কুলের ৫০ হাজার শিক্ষক কর্মচারীর অন্তত ২০০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের সকল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংগঠনটির সভাপতি মো: গাউসুল আজম ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন।

দাবিসমূহ হলো, সমাজসেবা অধিদপ্তরের জেলা উপ-পরিচালক কর্তৃক পরিদর্শনকৃত সকল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের এমপিও ও বাকিগুলোর স্বীকৃতি, অনলাইনে আবেদনকৃত সকল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের ২০০৯-এর নীতিমালার আলোকে স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন তালিকাভুক্ত সকল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য করোনাকালীন প্রণোদনার আওতায় অনুদান প্রদান, সকল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শতভাগ প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করাসহ ভাতা বৃদ্ধি করে মাসিক কমপক্ষে তিন হাজার টাকা প্রদান করা এবং সরকারি চাকরিতে প্রতিবন্ধী কোটা পুনর্বহাল করা, সকল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অতিসত্বর মিড ডে মিল-এর আওতায় আনা এবং সংসদ ভবন-সংলগ্ন অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত মাঠটি অতিদ্রুত ক্রীড়া ও বিনোদনের উপযোগী করা।

বিভিন্ন অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিনিধিরা তাদের দাবি পেশ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদনে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলাদেশে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনলাইনে আবেদনকৃত প্রায় এক হাজার ৫২৫টি অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রায় পঞ্চাশ হাজার শিক্ষক কর্মচারী বিগত প্রায় আট থেকে ১০ বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। কোনো বেতন ভাতা না পাওয়ায় পরিবার নিয়ে অনাহারে সমাজে বেকার বলে উপেক্ষিত ও অবহেলিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।’

মানববন্ধনে আরো বক্তৃতা করেন সানজিদা রহমান, আঞ্জুমান মনোয়ারা বেগম, ইলিয়াস রাজ, মিথুন কুমার রায়, আলহাজ্ব শাহিনা বেগম, রুপা আক্তার প্রমুখ।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের জেলা উপ-পরিচালক কর্তৃক পরিদর্শনকৃত সকল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমূহের এমপিওভুক্তি ও স্বীকৃতির দাবি তারা তাদের আর্জিতে তুলে ধরেন। একই সাথে, অনলাইনে আবেদনকৃত সকল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর ২০০৯-এর নীতিমালার আলোকে স্বীকৃতি ও এমপিও চাওয়াও ছিল তাদের আবেদনে।
মানববন্ধনে নেতারা জানান, তাদের ছয় দফা দাবি পূরণ না হলে তারা পরে বৃহত্তর আন্দোলন ও কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement