২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রাথমিক শিক্ষার গতি ফেরাতে রিকভারি অ্যাকশন প্ল্যান

প্রাথমিক শিক্ষার গতি ফেরাতে রিকভারি অ্যাকশন প্ল্যান - ছবি : নয়া দিগন্ত

করোনায় পিছিয়ে পড়া প্রাথমিক শিক্ষার গতি ফেরাতে শিগগিরই শুরু হচ্ছে ‘রিকভারি অ্যাকশন প্ল্যান’। নতুন এই পরিকল্পনায় ঈদুল আজহার আগেই প্রাথমিকের শতভাগ শিক্ষার্থীকে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের চাহিদা অনুযায়ী পাঠ লাভের সুযোগ করে দেয়া হবে। এ ছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা ও অন্য বেশ কিছু বিষয়েও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তবে আকর্ষণীয় কিছু প্যাকেজের বাইরেও উপজেলাপর্যায় থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিয়ে কিভাবে তাদের মান উন্নয়ন করা যায় সেই বিষয়েও সুপারিশ তৈরি করা হবে। পরবর্তী সময়ে এই সুপারিশ জমা দেয়া হবে জেলা শিক্ষা অফিসে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিøষ্ট সূত্র জানায়, করোনার দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসের এই সময়ে স্কুল বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস না থাকায় প্রাথমিকের অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে রয়েছে। যদিও সংসদ টিভিতে ক্লাসের মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থীকে পাঠ্যবইয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে; কিন্তু এই সুযোগ দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী গ্রহণ করতে পারছে না। এখন রেডিওর মাধ্যমে ক্লাস ও পাঠ্যধারা বজায় রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এত কিছুর পরেও নতুন পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে এখন ‘রিকভারি অ্যাকশন প্ল্যান’ নামে নতুন একটি উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এই প্ল্যানে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে প্রাথমিকের প্রত্যেক শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক অ্যাপসটি ডাউনলোড করে সেখানে চাহিদা মতো পাঠধারা গ্রহণ করতে পারবে।

অন্য দিকে করোনার মধ্যেও শিক্ষার্থীদের মনোবল চাঙ্গা ও প্রফুল্ল রাখতে ঈদুল আজহার আগেই প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ‘কিডস অ্যালাউন্স’ দেয়া হবে। বিধি অনুযায়ী উপজেলাভিত্তিক সঠিক মানের একই রঙের শার্ট, স্কাট, প্যান্ট, টাই, জুতা কেনার ব্যবস্থাও করতে হবে। একই সাথে দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা ‘রিকভারি অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করে তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠাবেন।

শুরু থেকে শিক্ষাবিদদের নানা প্রশ্নের মুখে ডিপিই বরাবরই দাবি করছে, সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস প্রচার করে ৫৯ থেকে ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পাঠ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। এর বাইরে নতুন করে বেতারে পাঠ প্রচার শুরু হলে আরো ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে এই পাঠধারা পৌঁছানো যাবে বলে মনে করে ডিপিই। তবে জরিপ করে দেখা গেছে, দেশের ৯৮ শতাংশের বেশি মানুষ মুঠোফোন ব্যবহার করে। অভিভাবকদের মুঠোফোন ব্যবহার করে শিশুরা অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: ফসিউল্লাহ জানান, সরকারের আইসিটি বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প থেকে এই অ্যাপস তৈরিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে সহায়তা করা হচ্ছে। শিগগিরই অ্যাপস চালু করা যাবে বলে তিনি আশা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল