১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গোপনে খুলেছে সেন্ট গ্রেগরি স্কুল, নেয়া হচ্ছে বেতন

- ছবি : সংগৃহীত

করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই গোপনে খোলা হয়েছে পুরান ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি স্কুল। তবে শিক্ষক বা কোনো শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, স্কুলটি খোলা হয়েছে শুধুমাত্র অভিভাবকদের জন্য। সরকারী আদেশ উপেক্ষা করে স্কুলে আদায় করা হচ্ছে বেতন ও টিউশন ফি।

যদিও প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাবি, তারা মূলত সরকারী কিছু কাজ কর্ম করতেই শুধু অফিস রুম খোলা রেখেছেন। আর এই সুযোগে কোনো কোনো অভিভাবক স্বেচ্ছায় এসে বেতন ভাতা বা টিউশন ফি পরিশোধ করে যাচ্ছেন।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি আদায় করতে পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারে অবস্থিত সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল খোলা হয়েছে। অভিভাবকদের বাসায় ফোন করে ডেকে এনে এই টিউশন ফি ও বেতন আদায় করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কয়েক দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও রাজধানীর সেন্ট গ্রেগরি স্কুল খোলা হয়েছে। গত রোববার থেকে এর কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন অভিভাবক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক নয়া দিগন্তকে জানান, যদিও অফিস খোলা রাখার কথা বলে হচ্ছে তবে আমরা স্কুলে গিয়ে দেখেছি অফিসের কোনো কক্ষ খোলা নেই। শুধুমাত্র বেতন আদায়ের কক্ষ বা ক্যাশ কাউন্টারই খোলা রেখে বেতন ও টিউশন ফি আদায় করা হচ্ছে। আগামী ২০ মে পর্যন্ত বেতন আদায় চলবে বলে অভিভাবকদের মুঠোফোনে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের প্রধান ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ স্কুল খোলার বিষয়ে এর সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, গত রোববার থেকে স্বল্প পরিসরে আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম চলছে। তবে কোনো পাঠদান চলছে না। শিক্ষার্থীরাও আসছে না।

বেতন আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, বেতন বা টিউশন ফি আদায়ের জন্য কাউকেই কোনো চাপ দেয়া হচ্ছে না। তবে যেহেতু স্বল্প পরিসরে অফিস খোলা আছে তাই অনেক অভিভাবক স্বেচ্ছায় এসে বেতন পরিশোধ করছেন।


আরো সংবাদ



premium cement