২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইবিতে ছাত্রীকে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ

- সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এক ছাত্রী র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। গত রোববার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের পাশে এ ঘটনার পর প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। সোমবার (৩ মার্চ) এ ঘটনায় বিভাগীয় সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালযের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তুষারের সঙ্গে ক্যাম্পাসে হাঁটছিলেন তিনি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন সাথী, অনন্যা নারগিস, তাজমীন নাহার, জান্নত-ই-কাওনাইন মাকনুন তাদের পথ রোধ করেন। এসময় তারা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে। পরে তুষার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিয়ে অনুষদ ভবনের সামনে আসলে আবার তাদের পথ রোধ করেন অভিযুক্তরা। এসময় আবারো ওই ছাত্রীকে গালি-গালাজ করে ও মারধর করতে উদ্যত হয় তারা। এসময় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বলে,‘তুই ক্যামনে ক্যাম্পাসে পড়িস দেখে নিবো। সোস্যাল ওয়েল ফেয়ার বিভাগ আমাদের কিছুই করতে পারবে না।’

এসময় আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে বমি করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। পরে তাকে কুষ্টিয়া শহরে তার মেসে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে সোমবার বিভাগীয় সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এছাড়াও অভিযুক্ত এই চার ছাত্রীর বিরুদ্ধে তাদের নিজ বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদেরও র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছেন তার সহপাঠীরা।

এবিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী তুষার বলেন,‘আমার অভিযুক্ত ছাত্রীদের সঙ্গে কোন শত্রুতা নাই। তারা কেন এমন উগ্র আচরণ করেছে আমি জানি না। আমি বাধা দিলেও আমাকে উপেক্ষা করে তারা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর উপর নির্যাতন চালায়।’

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন,‘তারা আমাকে মানসিক নির্যাতন করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের একজন জান্নাত-ই-কাওনাইন মাকনুন বলেন,‘আমি এ বিষয়ে মিডিয়াকে কিছু বলব না।’

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি এবং সমাজ কল্যাণ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন,‘আমি র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি এবং তা প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করেছি। প্রক্টর বিষয়টি দেখছেন। সব কিছু যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন,‘আমি সমাজ কল্যাণ বিভাগের সভাপতির কাছে থেকে অভিযোগ পত্র পেয়েছি। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন পেশ করবো।’


আরো সংবাদ



premium cement