২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যে স্ট্যাটাসে বদলে যায় পরিস্থিতি

যে স্ট্যাটাসে বদলে যায় পরিস্থিতি - ছবি : সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়াই কাল হয়েছিল বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের। আবার এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফেসবুকে সরব প্রচারণার কারণেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতরা একে একে গ্রেফতার হয়েছেন। গোটা দেশ ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। দেশের মূলধারার গণমাধ্যমে শুরুতে বিষয়টি ততটা গুরুত্ব পায়নি।

এমনকি প্রথমে কয়েকটি গণমাধ্যম এই খুনের ঘটনাটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যে ছেলেটি শিবিরের সাথে জড়িত ছিলেন তাই এটি গুরুত্বহীন। তার বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয় এবং এমন ধারণা তৈরির চেষ্টা করা হয় যাতে কেউ প্রতিবাদী না হন। কিন্তু আবরার ফাহাদের স্ট্যাটাসটিই যখন ভাইরাল হতে থাকে তখনই দ্রুত পরিস্থিতি বদলে যায়। ওই স্ট্যাটাসে দেখা যায় আবরার যুক্তিহীন কোনো কথা বলেননি। তিনি ভারতের সাথে সরকারের চুক্তির বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন।

কাউকে গালি দেয়া কিংবা হেয় করার বিষয় সেখানে ছিল না। তাতে কোনো অতিরঞ্জন কিংবা বাহুল্য কথাও ছিল না। তার ওই বক্তব্য যারাই পাঠ করেছেন তারাই সমর্থন করেছেন। এমনকি সরকারের উচ্চপর্যায়েও। এ যেন সবার মনের কথাই তিনি বলেছেন। আর মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে পড়া তার সে দেশপ্রেমমূলক স্ট্যাটাসই মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
দিনের আলোয় বিষয়টি আরো খোলাসা হয় যখন দেখা যায় আবরারের পরিবার আসলে আওয়ামী লীগেরই সমর্থক।

দিকভ্রান্ত গণমাধ্যমগুলো এরপর সুর পাল্টায়। কী হয়েছিল সে দিন তা উদঘাটন এবং ছাত্র বিক্ষোভের খবরও ফলাও করে প্রচার করতে থাকে। গত রাত সাড়ে ৮টায় দেখা যায় আবরার ফাহাদের আলোচিত স্ট্যাটাসটি ৫৬ হাজারবার শেয়ার হয়েছে। আর তাতে লাইক দিয়েছেন দুই লাখ ৪৫ হাজার জন। তার ফেসবুকের ওই লেখাটিই এখন দেশে-বিদেশে আলোচনার প্রধান বিষয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও ওই লেখাটির কথা ঘুরেফিরে উল্লেখ করছে। মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর ওপর মানুষের আস্থাহীনতার কারণেই যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটছে আবরারের নৃশংস খুনের ঘটনা সেটিকেই সামনে আনছে।


আরো সংবাদ



premium cement