১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেন চলবে যেকোনো সময়ে

সর্বত্র বাধাহীন হোক রেল যোগাযোগ

-

ঢাকা-পদ্মা সেতু-কাশিয়ানী-যশোর (রূপদিয়া) পর্যন্ত রেললাইনের কাজ শেষ। রেললাইনে পরীক্ষামূলক চলাচলও শেষ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রাণের এ রেললাইনে যেকোনো সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে রেলগাড়ি চলাচল। নয়া দিগন্তের কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নয়া দিগন্তের খবর অনুযায়ী, গোপালগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা ও যশোর, বেনাপোলসহ দক্ষিণাঞ্চলের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রাণের স্পন্দন এ রেললাইন। সেই রেললাইনে যেকোনো সময়ে চলাচল শুরু করবে রেলগাড়ি। ৩০ ও ৩১ মার্চ নবনির্মিত ৮৪ কিলোমিটার রেললাইনে পরীক্ষামূলকভাবে রেলগাড়ি চলাচল করেছে।
রেল চালু হলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য রেল যোগাযোগে দ্রুত ও কম খরচে পৌঁছে যাবে রাজধানী ঢাকায়। এ অঞ্চলের মানুষ খুলনা থেকে তিন ঘণ্টা এবং যশোর থেকে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছে যাবে রাজধানীতে। প্রায় ২৩০ কিলোমিটার কমে যাবে ঢাকা-খুলনা-যশোরের দূরত্ব। কয়েক দিন আগেও পশ্চিম-দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের এটি স্বপ্ন ছিল। পদ্মা সেতু সংযোগ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে কাশিয়ানী-নড়াইল হয়ে যশোরের সিঙ্গিয়া জংশন পর্যন্ত ১৬২.৫ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের রূপদিয়া পর্যন্ত ৮৪ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনে ব্যয় ধরা হয় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ (সেআরসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সেনাবাহিনী প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী আবু ইউসুফ মোহাম্মদ শামীম বলেন, প্রকল্পের সামগ্রিক কাজ শেষ পর্যায়ে। জুন মাসের যেকোনো সময়ে রেললাইনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। গোপালগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা, যশোর ও বেনাপোলসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হবে। অধ্যাপক প্রবীর কুমার চক্রবর্তী বলেন, রেল চালু হলে সময় ও অর্থ বাঁচবে। রেললাইন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রেলযোগে ঢাকা থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরের দূরত্ব কমে যাবে। বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে আমদানি-রফতানির পণ্য সরাসরি পদ্মা সেতু হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবহনে সুবিধা পাবেন ব্যবসায়ীরা। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। পদ্মা সেতু দিয়ে স্বল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারবে পশ্চিম-দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। এ রেললাইন উদ্বোধনের পর ধীরে ধীরে পাল্টে যাবে মানুষের জীবন। বেনাপোল-ঢাকা মহাসড়ক পথে অল্প খরচে পণ্য পরিবহনে সুযোগ পাবেন আমদানি-রফতানিকারকরা।


আরো সংবাদ



premium cement