১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
রোগব্যাধির কবলে ডিমলার ধানক্ষেত

কারণ উদ্ঘাটন করতে হবে

-

দৈনিক নয়া দিগন্তের ডিমলা (নীলফামারী) সংবাদদাতা জানান, ডিমলায় চড়া রোগে ভুগছে বোরো মৌসুমের ধানের চারগাছ। ব্লাস্ট, গিট ব্লাস্ট ও নেট ব্লাস্টসহ হরেক রকমের রোগ ও বিভিন্ন পোকার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। বেড়েই চলেছে রোগব্যাধি। বালাইনাশক ব্যবহার করেও পাচ্ছেন না সুফল। আর কৃষি অফিসের তদারকি না থাকায় বিপাকে চাষিরা। বিভিন্ন এলাকায় চারা রোপণের পরে হলুদ মাজরা পোকা, কালোমাথা মাজরা পোকা এবং গোলাপি মাজরা পোকা, ব্লাস্ট, গিট ব্লাস্ট ও নেট ব্লাস্ট, ধানের কাণ্ড ও গুঁড়ি পচা, ধানের পাতা ফাস্কোসহ দফায় দফায় বিভিন্ন রোগব্যাধিতে জর্জরিত ক্ষেত। হরেক রোগ ও বিভিন্ন পোকার উপদ্রব থেকে পরিত্রাণ পেতে কৃষি কর্তাদের পরামর্শ না পেয়ে কীটনাশক ব্যবসায়ীদের দ্বারস্থ চাষিরা। সঠিক রোগ নির্ণয় না করে কীটনাশক ব্যবসায়ীরা দিচ্ছেন বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিষেধক। ভুল ব্যবহারে জমি হারাচ্ছে উর্বরতা, বারবার বালাইনাশক ব্যবহারে কৃষকদের বাড়তি খরচ হচ্ছে। বিনষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। এতে ব্যাহতের শঙ্কা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায়।
গয়াবাড়ী কালীরডাঙ্গা এলাকার শহিদুল ইসলাম বলেন, এক বিঘা হীরা ধানের গাছ ছত্রাক আক্রমণে নষ্ট হয়েছে। কৃষি অফিসারদের জানালে ব্যবস্থা নিতে নিতে ধানের গাছ নষ্ট হবে। কীটনাশক বিক্রেতার পরামর্শে প্রতিষেধক ব্যবহার করছি। মধ্যম সুন্দরখাতা মাঝিয়ালীর ডাঙ্গা এলাকার পাষাণ আলী বলেন, ছয় বিঘা জমিতে হাইব্রিড বোরো ধান রোপণ করেছি। ধানের চারা রোপণের পর, দুই-তিনবার বালাইনাশক ব্যবহার করেও সুফল মেলেনি। উল্টো, ধানের চারা হলুদ বর্ণের ও খাটো হয়ে পাতা মরে যাচ্ছে।
একই গ্রামের কৃষক সহিদুল ইসলাম বলেন, কৃষি অফিসের কেউ এদিকে আসেন না। নামও জানি না। দুইবার ওষুধ স্প্রে করেছি। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছি না।
একই এলাকার কৃষক মহিকুল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ। পোকার আক্রমণে স্বপ্নগুলো বিলীন হয়ে যাবে।
বালাপাড়া ইউনিয়নের ৮ নং ব্লকের কৃষি কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, আমাকে কেউ জানায়নি। যেসব কৃষকের ক্ষতি হয়েছে তাদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদফতর, নীলফামারীর উপপরিচালক ড. আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস হতে মাঠ পর্যায়ে বোরো ধান চাষে কিভাবে ভালো ফলন পাওয়া যায়, সে বিষয়ে পরিচর্যা, রোগ প্রতিকার সম্পর্কে স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement