ফিরতে হবে কুরআনের দিকে
- ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৫, আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৫১
আজ বৃহস্পতিবার ১২ রবিউল আউয়াল। এই দিন মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন মানবতার মুক্তির দূত হজরত মুহাম্মদ সা:। তিনি একই দিন পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। তাই দিনটি নিয়ে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে রয়েছে বিশেষ আবেগ। প্রতি বছর মুসলমানরা দিনটি পালন করে থাকেন শেষ নবী সা:-এর আদর্শ স্মরণে। কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী তিনি একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান নিয়ে এসেছিলেন। তিনি তা বাস্তবায়ন করেও মানুষের মধ্যে অনুপম নিদর্শন হয়েছিলেন। নবী জীবনের শিক্ষা হচ্ছে, নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে সম্পূর্ণ বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে মানবতার কল্যাণে আজীবন নিয়োজিত হওয়া। আল্লাহর নির্দেশিত সত্য ও ন্যায়ের পথকে নিজের জীবনের পরম লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করা। তবে দুর্ভাগ্য হলো, বর্তমান মুসলিম সমাজের সাথে এর মিল খুব কমই পাওয়া যায়। আজকের এ দিনে সবাইকে ফের সে শিক্ষার দিকে ফিরে আসার শপথ নিতে হবে।
মানুষ কেউ ছোট বা বড় নন। কেউ কারো চেয়ে শ্রেষ্ঠ নন। সবই সমান। আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে কোনো অবস্থাতেই মাথা নোয়ানো যাবে না। মুহাম্মদ সা: প্রচার করেছেন, মানুষের প্রকৃত মর্যাদা স্রষ্টার সার্বভৌমত্ব মেনে আল্লাহর নির্দেশিত পথে সারা জীবন নিষ্ঠার সাথে চলার মধ্যে। মানুষ ইহকালে যে কাজ করবে, পরকালে আল্লাহর কাছে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এ জন্য প্রতিফল পাবে। যারা আল্লাহ, তাঁর প্রেরিত আসমানি কিতাব, নবী-রাসূল, আখিরাত এবং শেষ বিচারের দিনের প্রতি বিশ্বাস রেখে ন্যায় ও কল্যাণের পথ অনুসরণ করবে, তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে মহান পুরস্কার। তারা পাবেন শাশ্বত শান্তিময় স্থান বেহেশত বা জান্নাত। আর যারা সত্যের পথে চলবে না এবং নিজের প্রবৃত্তির দাসত্ব করবে, তাদের জন্য রয়েছে চরম শাস্তির চিরন্তন স্থান জাহান্নাম। সেখান থেকে কখনো তারা বের হতে পারবে না।
মুহাম্মদ সা:-এর প্রতিটি কাজের লক্ষ্য ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা। এমন কাজ করতে গেলে সাধারণভাবে আশপাশের লোকেরা উপকৃত হয়। আমরা দেখেছি তাঁর আগমনের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে পুরো আরব উপদ্বীপের মানুষ আল্লাহতে মাথা নত করেছিলেন। ইসলামের মহত্ত্ব শুধু আরব ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তৎকালীন দুই সভ্যতা পারস্য ও রোম সাম্রাজ্যও ইসলাম গ্রহণ করেছিল। ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে সারা দুনিয়ায়। রাসূল সা: এ পথে শত্রুকে বুকে নিয়ে করেছেন মিত্র। তিনি মানুষের পরম আস্থাভাজন ছিলেন। সেই সূত্রে তাঁর সময়ের আরব দুনিয়ায় নিজেকে সবার কাছে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আল-আমিন বা বিশ্বাসী হিসেবে। ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অসি হাতে যুদ্ধ করেছেন তিনি; কিন্তু অন্যায়ভাবে সামান্য আঘাতও দেননি। যুদ্ধবন্দীদের দিয়েছেন অতুলনীয় মানবাধিকার। তিনি মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ আদর্শ। তিনি অপরাধীদের ক্ষমা করে দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন। অঙ্গীকার রক্ষায় ছিলেন শতভাগ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আদর্শ ও ন্যায়ের পথে মুসলিমরা যখন ছিলেন অঙ্গীকারবদ্ধ, তখন সাফল্য তাদের হাতের মুঠোয় ধরা দিয়েছিল। কিন্তু মূল আদর্শ বাস্তবায়নে তারা যখন গাফেল হয়ে পড়েন, তখন থেকে মুসলমানদের পতনের সূচনা। আজ তারা আদর্শচ্যুত হয়ে পতনের শেষপ্রান্তে এসে পৌঁছেছেন। আমরা যদি আল-কুরআনের চিরন্তন আদর্শের দিকে ফিরে যেতে না পারি, তবে এ অধঃপতন থেকে উত্তরণের কোনো বিকল্প উপায় নেই।
মানবজাতি সে আদর্শ অনুসরণ করলে আজকের দুনিয়ার অন্যায়, অশান্তি, অনাচার-অবিচার, দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাতের অবসান হওয়ার পথ তৈরি হবে। এ পথ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে সর্বশেষ আসমানি কিতাব আল-কুরআনে। আসুন, আমরা সবাই আল-কুরআনের দিকে ফিরে যাই। এতে নিহিত রয়েছে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা