সুফল মিলছে না এখনো
- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
রাজধানীর অসহ্য যানজট নিরসনে অনেকগুলো উড়ালসড়ক, এক্সপ্রেসওয়েসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। তাতে যানজটের ভোগান্তি থেকে নগরবাসী রেহাই পেয়েছে, জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হচ্ছে। দীর্ঘ ১২ বছরে প্রকল্পের অর্ধেকটা সাড়ে ১১ কিলোমিটার উদ্বোধন হয়েছে পক্ষকালের বেশি আগে। সেটি কোনো সুফল দিচ্ছে না বলে এরই মধ্যে নানা তথ্য দিয়ে জানাচ্ছে গণমাধ্যম। বিশেষ করে সাধারণ নগরবাসী, যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই, যারা গণপরিবহনে যাতায়াত করেন তাদের কোনো কাজে লাগছে না এক্সপ্রেসওয়ে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর চালুর পর প্রথম ১০ দিনে এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচলের ধরন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাস চলেছে মাত্র ৬০৭টি, যদিও ছোট গাড়ি চলেছে আড়াই লাখের বেশি। এখান দিয়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ১৪০টি এবং ঘণ্টায় গড়ে এক হাজার ১৭২টি যানবাহন চলাচল করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহন এ সড়ক ব্যবহার না করায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না।
প্রকল্পের বিনিয়োগকারীরা চোখে অন্ধকার দেখছেন কি না, এমন কোনো খবর গণমাধ্যমে আসেনি। তবে এক্সপ্রেসওয়েতে সরকারি গণপরিবহন সংস্থা বিআরটিসির বাস চলাচল উদ্বোধনের বিষয়টি প্রকল্পের আয় বাড়ানোর চেষ্টা বলে মনে করার কারণ আছে।
সরাসরি যানবাহন পারাপার করার জন্য এক্সপ্রেসওয়ে। তাই এতে যাত্রী ওঠানামার ব্যবস্থা নেই। বিআরটিসির বাস চালু হলে সেগুলোকে বিরতিহীনভাবে চলাচল করতে হবে। এ কারণে যাত্রী না পাওয়ার আশঙ্কায় এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিয়ে বাস চালাতে চায় না কোনো বেসরকারি কোম্পানি। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ একটি দৈনিককে স্পষ্ট করে বলেছেন, যাত্রীদের নিচে রেখে উপরে বাস চালিয়ে কী লাভ! বিআরটিসি যে বাস নামাচ্ছে, কয়টা যাত্রী পাবে?
সরকারি সংস্থার বাসের টোল দিয়ে বিনিয়োগকারীদের কতটা পোষাবে সময় বলে দেবে। তবে এ পরিষেবা সফল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ তা অনুমান করা কঠিন নয়।
কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, আংশিক উদ্বোধন করে পুরো সুফল পাওয়ার চিন্তা করা ঠিক নয়। এর সুফল আসবে যখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এ উড়ালসড়ক ঢাকা-আশুলিয়া উড়াল মহাসড়কে যুক্ত হবে।
প্রকল্পটির সুফল কতটা পাওয়া যাচ্ছে সেটি বিবেচনার আরেকটি দিক হলো যানজট। যানজটের কোনো সুরাহা করেনি। এটি চালুর আগে বনানীর আর্মি স্টেডিয়াম এলাকা থেকে একেবারে কাকলি পর্যন্ত যানজট থাকত। এক্সপ্রেসওয়ে চালুর পর সেই যানজট সরে এসেছে সেতু ভবন থেকে মহাখালী রেলগেট, বাসটার্মিনাল ও সাতরাস্তা এলাকায়। আগে সাতরাস্তা ব্যবহার করে যেসব গাড়ি চলত সেগুলো এখন মহাখালীর জ্যাম এড়াতে ফার্মগেট হয়ে চলাচল করছে। ফলে আগে থেকে জটপূর্ণ ফার্মগেট এলাকায় যানজট তীব্রতর হচ্ছে।
সাড়ে ১১ কিলোমিটার চালু করতে যেখানে ১২ বছর লেগেছে বাকি অংশ চালু করতে কত সময় লাগবে কেউ জানে না। কারণ, লাগামহীন ব্যয়ের কুফল অর্থনীতির ওপর এর মধ্যে পড়তে শুরু করেছে। সামনে আছে জাতীয় নির্বাচন। সরকারের পূর্ণ মনোযোগ থাকবে নির্বাচনের দিকে, উন্নয়ন প্রকল্পে নয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা