২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
মানিকগঞ্জের ব্রিজটির দুই পাশই ধসে গেছে

অবিলম্বে কর্তৃপক্ষ নজর দিন

-

একটি সহযোগী দৈনিকের মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মানিকগঞ্জের ঘিওর-কুস্তা ইছামতী (শাখা) নদীর ওপর বেইলি ব্রিজটি বন্যায় দুই পাশে ধসে গেছে এবং মাঝখানে কিছু অংশে ফাটল ধরলে কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ করেছে। এর পরও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘিওর ও দৌলতপুর- এই দুটি উপজেলার ১৯-২০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষসহ যানবাহন চলাচল করছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
ঘিওর এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯২ সালে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ইছামতী নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ২০১২ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে এলজিইডিই। ঝুঁকি নিয়ে কুস্তা, নারচী, শ্রীধরনগর, খলসী, কুমুরিয়া, বিনোদপুর, কাটাখালী, জিয়নপুরসহ ১৯-২০টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করছে। একটি সরকারি কলেজ, তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ হাজার হাজার লোক এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও খাদ্যগুদামের ধান, চাল, গম আনা-নেয়ায় চরম অসুবিধা হচ্ছে। অধিক ভাড়া ব্যয় করে পণ্যসামগ্রী আনা-নেয়া হচ্ছে। এলাকার ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা-নেয়ার ক্ষেত্রেও অসুবিধা হচ্ছে। লোকজনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পারাপার করতে হচ্ছে। কুস্তা গ্রামের আওয়াল মিয়া, রফিকুল, কাইয়ুম খানসহ লোকজন বলেন, ব্রিজটির সামনের অংশে ফাটল। পিলারের কাছ থেকে মাটি সরে গেছে। সব ধরনের ভারী যানবাহন ও খাদ্যগুদামে মালামাল আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে চরম অসুবিধা হচ্ছে। স্কুলে কিংবা প্রাইভেট পড়তে প্রতিনিয়ত এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা চলাচল করছে। এ ছাড়া পণ্য পরিবহনে বাড়তি ঝামেলা ও দ্বিগুণ অর্থের অপচয় হচ্ছে। এই দু’টি উপজেলার মানুষ এই সেতু দিয়ে পারাপার করে। ৩১ বছরেও মেরামত করা হয়নি। তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার লোকের চলাচলের ক্ষেত্রেও দুর্ভোগ হচ্ছে। খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) মো: তুহিনুর ইসলাম জানান, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে খাদ্যগুদামের সব মালামাল আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে চরম অসুবিধা। অধিক ভাড়া ব্যয় করতে হচ্ছে। দ্রুত ব্রিজটি মেরামতের জন্য তিনি জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। উপজেলা প্রকৌশলী মো: সাইফুর রহমান জানান, বেইলি ব্রিজটি নির্মাণের জন্য নকশা ও ইস্টিমেটসহ তথ্যাবলি পুনরায় কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হামিদুর রহমান জানান, ব্রিজটি পরিদর্শন করেছি। জরুরি নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে ব্রিজটির দিকে নজর দেবে বলে আমরা আশা করি। অন্যথায় জনগণের বিরাট বিপদ ঘটতে পারে যেকোনো সময়ই।


আরো সংবাদ



premium cement