২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
খাসজমি দখল ও মাটি বিক্রি

প্রশাসন কোথায় ছিল?

-

একটি সহযোগী দৈনিকের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি এক প্রতিবেদনে জানান, সিরাজদিখান উপজেলার নয়ানগর এলাকায় ১.২৫ একর সরকারি জায়গা জবরদখল করে মাটি কাটছে সিন্ডিকেট। এতে ২৫ জন সদস্য। এই সিন্ডিকেটের নাম ‘বন্ধুমহল’। মূল হোতা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বলে জনগণের অভিযোগ।
ভেকু দিয়ে ওই সরকারি জায়গায় মাটি কাটছে শ্রমিকরা। ‘সাংবাদিক আসছে’ খবর পাওয়ার পর ভেকুটি সরিয়ে রাখা হয়। রাতের অন্ধকারে মাটি কাটার অভিযোগ। এক কৃষক জানান, তিন ফসলি জমি বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি ও একজন ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ভরাট ও মাটি কেটে বিক্রি করার হিড়িক চলছে। এখানে ইরি ধান, সরিষা ও সবজি হয়। ভরাট ও মাটি কেটে বিক্রি করলে খাদ্যে চরম ঘাটতি হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। ডা: বি. চৌধুরীর নামে নতুন বাইপাস সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সড়কটির মাটি বিক্রি করছে জনৈক ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি টিম।

রাজানগর ভূমি অফিস নায়েবের কাছ থেকে জানা যায়, এই সম্পত্তি সম্পূর্ণ সরকারের। কাউকে লিজ দেয়া হয়নি। স্থানীয় চেয়ারম্যান আপত্তি দেয়ার পরও ভূমি অফিস পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এর ভলিউমে লেখা রয়েছে- আরএস ১০৫১ নং দাগের ৩৪ শতাংশ মান্নানের নামে দলিল নেই। অর্থাৎ ভুয়া দলিল দিয়ে নামজারিও করেছেন বলে উপরোল্লিখিত ২৫ জন সদস্যের বেশির ভাগই জানিয়েছেন।
সমিতির একজন জানিয়েছেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে জমি ক্রয় করেছি; দলিলও আছে। আগের যে মালিক, তার নামে নামজারিও রয়েছে। যেখানে ভূমি অফিসের মূল নথিতে সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা, সেখানে কিভাবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জবরদখল করে মাটি কেটে বিক্রি করছেন? উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জানান, ‘তিনি এই সমিতির সদস্য নন। সরকারি ভূমি দখল করে মাটি কাটার সাথে জড়িত নন। আমার নাম কেউ বলে থাকলে মিথ্যা বলেছে।’
এ বিষয়ে রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানান, ‘খ’ তফসিলের সম্পূর্ণ জায়গাটি সরকারি। দুষ্কৃতকারীরা জায়গাটি দখলের পাঁয়তারায় নেমেছে। কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে রেখেছি। রাজানগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব ইব্রাহীম জানান, দুই মাস আগে যোগদান করেছি। এই জমির নামজারি হয়েছে কি না, জানি না। উপজেলায় গিয়ে দেখব। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সেলফোনে ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খাস জমি মানে সরকারি জমি। এতে জাতীয় স্বার্থ জড়িত। এটি রক্ষা করা, একে সর্ববিধ বেদখল কিংবা মাটি বিক্রি থেকে বাঁচানো প্রশাসনেরই কাজ। তাই মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে প্রশাসন কোথায় থাকে, সে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক।


আরো সংবাদ



premium cement
ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে? জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসন বেড়েছে ৫০টি

সকল