১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মোরেলগঞ্জে খাবার পানির সঙ্কট

পুকুর খনন ও পিএসএফ সচল করুন

-

সহযোগী দৈনিকের মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) সংবাদদাতা সম্প্রতি জানান, মোরেলগঞ্জে প্রচণ্ড তাপদাহ ও গরমে ১৬টি ইউনিয়নসহ পৌরসভার সর্বত্রই সুপেয় খাবার পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তিন শতাধিক পুকুরের পানি শুকিয়ে তলানিতে পৌঁছেছে। বাগেরহাট জেলা পরিষদের মাধ্যমে ৫০টি পুকুর পুনর্খনন করা হলেও তা অপ্রতুল।
উপজেলার নিশানবাড়িয়া ও বারইখালী সীমান্তবর্তী দু’টি ইউনিয়নের পুকুরটি পুনর্খননের অভাবে ছয় গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ পানির সঙ্কটে পড়েছে। মিষ্টি পানির একমাত্র পুকুরটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। স্থানীয়দের দাবি পুকুরটি পুনর্খনন, ঘাট নির্মাণ ও পন্ডস্যান্ড ফিল্টার (পিএসএফ) সচল করার।
নিশানবাড়িয়া ও বারইখালী নামে দু’টি ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের শিকদার বাড়ির খাবার মিষ্টি পানির পুকুরটি ভরাট হয়ে পানিশূন্য। ব্রিটিশ আমলের প্রায় দেড় শ’ বছর আগে ৫০ শতক জমির ওপর কাটা হয় এ পুকুর। বাড়ির পূর্বপুরুষরা মানুষের খাবার পানির সঙ্কট সমাধানে পুকুরটি খনন করান। নিশানবাড়িয়া ও বারইখালী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তাফালবাড়িয়া, গোয়ালবাড়িয়া ও নিশানবাড়িয়ার হোগলপাতি, জামিরতলা, গুয়াতলা, পলিটিক্সের মোড় সংলগ্ন ছয়টি গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ পুকুর থেকে পানি নিয়ে চাহিদা মেটাচ্ছে। খাবার পানি ও রান্নার কাজে ব্যবহার করছে সাত হাজার পরিবার এ পুকুরের পানি। পানি শুকিয়ে যাওয়ায় পানির ভিন্ন রঙ। তবুও থেমে নেই গ্রামবাসীর পানি নেয়া।

২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী এনজিও সুশীলন কর্তৃক পুকুরের এক প্রান্তে পানি ফিল্টারিংয়ের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল পিএসএফ। তা অকেজো পড়ে রয়েছে। ঘাটটি ভেঙেচুরে ভঙ্গুুর অবস্থায়; ঘাট থেকে পড়ে নারী ও শিশুসহ অনেকেই আহত হয়েছে। তাফালবাড়িয়া ও গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের মানুষের এ পুকুরে আসতে পার হতে হয় বড় সাঁকো।
গুরুত্বপূর্ণ খাবার পানির পুকুরটির জমিদাতা হীরেন্দ্রনাথ শিকদার, পানি নিতে আসা গোকুল শিকদার, ফজলুর রহমান ফরাজী, শাহজাহান হাওলাদার, বিভা রানী রায়, তৃপ্তি রানী মণ্ডল, জামাল হাওলাদার, শান্তি হালদারসহ ভুক্তভোগীরা বলেন, দু’টি ইউনিয়নের ছয় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে খাবার পানির জন্য প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দুই-তিন কিলোমিটার হেঁটে, নৌকা ও ভ্যানযোগে পানি নেয় গ্রামবাসী। অথচ পুকুরটি ভরাট হয়ে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে।
পিএসএফ অকেজো দীর্ঘদিন, যে কারণে পুকুর থেকে সরাসরি এই পানি পান করে রোগ দেখা দিয়েছে প্রতিটি ঘরে। ভুক্তভোগী গ্রামবাসী অতিসত্বর পুকুর পুনর্খনন, ঘাট সংস্কার ও পিএসএফটি সচল করার দাবি জানিয়েছেন সংসদ সদস্যসহ প্রশাসনের প্রতি।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বলেন, উপজেলায় ৫০টি খাবার পানির পুকুর পুনর্খনন করা হয়েছে। আরো পুকুর খননের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, জেলার সব উপজেলায় খাবার পানির জন্য জেলা প্রশাসক একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠিয়েছেন। তারা তা গ্রহণ করেছেন। সে অনুযায়ী কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পর্যাপ্ত পুকুর, শিকদারবাড়ির পুকুরঘাট এবং পন্ডস্যান্ড ফিল্টার নিশ্চিত হোক, এটিই আমরা চাই। আশা করি, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যবস্থা নেবে। অন্যথায়, জনদুর্ভোগের পরিসীমা থাকবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের

সকল